রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরে জাকির হোসেন (২১) নামে এক যুববকে গলা কেটে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় চকরাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আয়োজনে চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও সমাবেশ এলাকার স্থানীয় মানুষ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করে।
জানা যায়, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ৯টায় জাকির হোসেন বাড়ি থেকে পাশের কালিদাসখালী বাজারে ওষুধ আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরের দিন ২৫ জানুয়ারি সকালে এলাকার সবজি চাষীরা মাঠে কাজ করতে গেলে লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে বাবা খালেক মোল্লা ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারি রাতে জাকির হোসেনের বাবা আবদুল খালেক মোল্লা বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যা মামলা করার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে চকরাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আয়োজনে স্থানীয় মানুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।
আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চকরাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক ইসলাম। বক্তব্য রাখেন চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম, চকরাজাপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মোহাম্মদ বাবলু দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, লক্ষীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান, পল্লী চিকিৎসক জহুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হাফিজুর রহমান, উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, নিহত জাকির হোসেনের বাবা আবদুল খালেক, মা মাজেদা বেগম, বোন আমেনা বেগম প্রমুখ।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, জাকির হত্যার বিচারের দাবিতে একটি মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে, শুনেছি। তবে হত্যার বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ জানুয়ারি সকাল ৯টায় পদ্মার চরের কালিদাসখালীর মটরক্ষেত থেকে গলাকাট লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জাকির হোসেন ওই এলাকার আবদুল খালেক মোল্লার ছেলে।