কিশোরগঞ্জের মানবাধিকারকর্মী শামীমা সুলতানা ঝর্ণা সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকালে কটিয়াদীর গ্রামের বাড়ীতে জানাজার নামাজ শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। শামীমা সুলতানা ঝর্ণার মৃত্যুতে সমবেদনা ও জানাজায় শরিক হতে তার গ্রামের বাড়ীতে ছুটেযান –ভোরের আলো সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক রেজাউল হাবিব রেজা, প্রধান পৃষ্টপোষক এড. মোঃ নিজাম উদ্দীন, সভাপতি আজিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদী, উপদেষ্টা শামসুল মালেক চৌধুরী লিটন, সদস্য শাহীন, নিরাপদ সড়ক চাই কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক শফিক কবীর, অর্থ সম্পাদক সাংবাদিক ফারুকুজ্জামান, দুর্ঘটনা বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক আলী রেজা সুমন, জেলা নারী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রী হাসিনা হায়দার চামেলী, কটিয়াদীর নারী নেত্রী হেপিসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক সংঘঠনে নেতৃবৃন্দ।
গতবুধবার (২৯ জানুয়ারি) কটিয়াদি উপজেলার ঘিলাকান্দি নামক এলাকায় সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে শামীমা সুলতানা ঝর্ণা তার চার বান্ধবীসহ নিয়োমিত বাড়ির পাশের মেইন রাস্তায় প্রতিদিনের ন্যায় হাঁটাহাটি করছিলেন। এমন সময় তার পেছনে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে একটি পিকআপ সজোরে ধাক্কা দেয়। পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি শামীমা সুলতানাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে শামীমা সুলতানাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে থেকে রাজধানীর আগারগাঁও এর নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর স্কয়ার হসপিটাল এবং সর্বশেষ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের আইসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের অন্তহীন প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে শামীমা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। তার এমৃত্যুতে কটিয়াদি উপজেলার ঘিলাকান্দি গ্রাম ও কিশোরগঞ্জের ভোরের আলো সাহিত্য আসরসহসামাজিক সংঘঠনে নেমে আসে শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে তিনি এক মেয়ে স্বামী, বাবা, ভাই বোন, আত্বীয়-স্বজন সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখেযান। শামীমা সুলতানা ঝর্ণা ছিলেন –ভোরের আলো সাহিত্য আসরের নারী সম্পাদিকা, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার কার্যকরি সদস্য,বনগ্রাম নারী উন্নয়ন সংস্থার সভানেত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংঘঠনের দায়িত্বশীল।