বগুড়ায় সুন্দরী তরুনী চক্রের পাতা ফাঁদের ঘটনায় মানুষকে অপহরণ করে টাকা হাতিয়ে নেবার ঘটনা নতুন নয় । আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় বেশ কিছু দিন নীরব থাকার পর প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করা চক্রটি ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এবার তাঁরা এক কৃষি কর্মকর্তাকে টার্গেট করে প্রেমের টোপ দিয়ে অপহরণ করে তার নগ্ন দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে । পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছে। চক্রটি ৩৫ লাখ টাকা টাকা মুক্তিপণ দাবীতে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিকে অপহরণ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকালে বগুড়া সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শহরতলি বনানী এলাকা র্যাব ক্যাম্পের পেছন থেকে দুই কলেজ ছাত্রীসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সেই সাথে ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানার আলী মামুদচর এলাকার, বর্তমান সাং-সুত্রাপুরের ভাড়াটিয়া ইছাহাক আলীর ছেলে জনি (২৫), ধুনট থানার বিলচাঁপড়ি এলাকার জনির স্ত্রী সুমাইয়া (১৯) ও ধুনট সরুগ্রামের আঃ মাজেদের মেয়ে সাদিয়া (২৪)।
পুলিমের অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিপুর কাজিপাড়া (মিয়াবাড়ি) এলাকার সৈয়দ সেকেন্দার আলীর ছেলে কৃষিকর্মকর্তা শাজাহান আলীকে উদ্ধার করা হয়। তিনি গোবিন্দগঞ্জ কৃষি অফিসে কর্মরত।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কৃষিকর্মকর্তা বগুড়া শহরের বারোপুর এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় থাকেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় ভিকটিম কৃষি কর্মকর্তা শাজাহান আলী বাজার করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা উদিগ্ন হয়ে ওঠে। তাকে ফোনে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।
এদিকে ওই সুন্দরী তরুনীরা শাজাহানের বউকে ফোন করে ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নগ্নদৃশ্য ভাইরাল করা হবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় শাজাহানের বাবা গতমঙ্গলবার সদর থানায় তাঁর ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করে। পরে পুলিশ-র্যাবের সহযোগিতায় অভিযান চালিংে ওই চক্রটিকে গ্রেপ্তার করে।
ভিকটিম শাজাহান আলী জানান, শহরের সাতমাথায় তাঁর সাথে চক্রটির মূলহোতা জনির দেখা হয়। জনি তাঁর পূর্বপরিচিত হওয়ায় চাপ ঘরে চাপ খাওয়ার জন্য যায়। সেখান থেকে চাপ খাওয়া শেষে জোর করে তাকে জনির শ্বশুর বাড়িতে (বনানী) এলাকায় নিয়ে যায় ।
পরে সেখানে জনি ও সাদিয়া মিলে (সুমাইয়া-শাজাহানের) নগ্নদৃশ্য ধারণ করে। মোটা অংকের টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর সোহেল রানা জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্যের খুঁজে বের করা হবে। আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।