ফরিদপুরের নগরকান্দায় দুদল গ্রামবাসির মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। এ সংঘর্ষের জড়ি থাকার দায়ে ৩ জনকে ১ মাস করে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সংঘর্ষে আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টা এবং গতকাল বুধবার সকাল ৮টার দিকে দুই দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদনগর ইউনিয়নের ঈশ^রদী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য ওয়াদুদ মাতুব্বরের সাথে সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ মাতুব্বরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের জেরে মাঝে মাঝে উভয় গ্রুপের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা, সংঘর্ষ ও বসত বাড়ী ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৩ অক্টোবর নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানার উদ্যোগে উক্ত গ্রামবাসি ‘আর সংঘর্ষে জড়িত হবে না’ এই মর্মে অঙ্গীকার দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পুলিশের নিকট সংঘর্ষে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র জমা দেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঈশরদী গ্রামের আফসারের সেতুর নিকট একটি সিঙ্গারার দোকানে দুইদলের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বচসার সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে মাসুদ মাতুব্বরের দুই সমর্থককে মারপিট করে ওদুদ মাতুব্বরের সমর্থকরা। এর জের ধরে বুধবার সকাল ৮টার দিকে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে আর ৬জন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ সংঘর্ষে আহতদের উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুরুতর আহত এনায়েত মাতুব্বরকে (৪৫) ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থনান্তর করা হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এ সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে কামাল মুন্সি, ফারুক মাতুব্বর ও শাজাহান মাতুব্বরকে আটক করে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদারতে সোপর্দ করেন।
এ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী হাকিম ও নগরকান্দা উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেতী প্রু।
আদালতে আটক ওই তিন ব্যাক্তিকে সংঘর্ষে জড়িত থাকার দায়ে প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নগরকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।