ফরিদপুরে বিএডিসির এক কর্মকর্তাকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ওই মামালার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ওই কর্মকর্তার নাম মনোয়ার হোসেন (৩৯)। তিনি শহরতলীর কৈজুরি ইউনিয়নের তাম্বুলখানায় অবস্থিত বিএডিসির তাম্বুলখানা বীজ উৎপাদন খামারে জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রায় দুই বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন।
গত শনিবার মনোয়ার হোসেন ওই খামারে মাগরিবের নাম পড়ে বের হয়ে সামনের খামারের ভিতরে একটি সড়কে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। তখন খামার সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা দিদার হাওলাদার ওরফে হৃদয় (২৯) এবং তার ভাই সবুজ হাওলাদার (৩১) একটি মোটরসাইকেল চালিয়ে মনোয়ার হোসেনের শরীরের উপর দিয়ে চালিয়ে দেয়। এর ফলে তিনি সড়কে পড়ে গেলে দিদার মনোয়ার হোসেনের মাথায় একটি ছুরি দিয়ে আঘাত করেন।
ওই সময় খামারের কর্মচারিরা এগিয়ে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে দিদার ও সবুজ মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান। পরে ওই খামারের কর্মচারিরা মনোয়ারকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মনোয়ার হোসেন বলেন, খামারের মধ্যে একটি পুকুর আছে। দিদার ওই পুকুর থেকে প্রতিনিয়ত মাছ চুরি করতেন। এ ব্যাপারে বারবার তাকে সতর্ক করা হলেও কোনো কাজ হয়নি। গত শনিবার দুপুরে তিনি এ বিষয়টি ফরিদপুর-৩ (সদর) আসানের সাংসদের পিএস এএইচ এম ফোয়াদ ও সদরের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে বিষয়টি অবহিত করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে দিদার তার ভাই সবুজকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন বাদী মারপিটের অভিযোগে দিদার ও সবুজকে আসামি করে একটি মামলাদায়ের করেছেন। পুলিশ দিদারকে গ্রেপ্তার করেছে।
দিদার হাওলাদারের ভাই মিরাজ হাওলাদার জানান, দিদার ও সবুজ মোটরসাইকেলে করে ওই খামারে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে। ওই দুর্ঘটনায় ওই খামারের বড় বাবু (মনোয়ার) ও দিদার আহত হন। তিনি বলেন, ওই কর্মকর্তাকে ছুরি মারার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি বাজে কথা। আহত দিদার বর্তমানে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।