আগামী ২৫ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন’। ভর্তির হার বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করা এবং শিশুদের মাঝে গণতন্ত্র চর্চার লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিদ্যালয়ে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রনালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে এই নির্বাচন হচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই আদলে নির্বাচন হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারো কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে চলছে স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা ও গনসংযোগ। এ প্রতিষ্ঠানে ১৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন, অনন্য সাহা,আলফি আল ফাইয়াত,ফারিয়া ইসলাম,ফারজানা,আতিক হাসান,সাবাতা আলম ফারিসা,সাব্বির হোসেন রনি,ফারিহা জাহান হিমু,আফতাবুল ইসলাম আবির,ইশতিয়াক আহমেদ ইমন,মোঃ আশরাফুল ইসলাম,ইব্রাহিম খলিল,লিয়ন শেখ।
বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি ও ব্যাপক প্রচারনা চালাচ্ছেন। ফেস্টুন ব্যনারে ছেয়ে গেছে পুরো বিদ্যালয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিশুকাল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা, মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন শেখাতে এই স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের দায়িত্বের পাশাপাশি শিক্ষকদের নানা কাজেও সহায়তা করবে।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের নিয়েই তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ মাজহারুল মুজিব দ্বীপ। তিনি জানান, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানরত মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে খসড়া কর্মপরিকল্পনা ও তফসিল অনুযায়ী স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচনের’ মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চাসহ একে অপরকে সহযোগিতা করা, শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা, পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিতসহ ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। আমাদের স্কুলে ৪ শতাধিক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রার্থীরাও সরব প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হবে আট সদস্যের স্টুডেন্টস কেবিনেট। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির যেকোনো ছাত্রছাত্রী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। একজন ভোটার সর্বোচ্চ আটটি ভোট দেবে। প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি করে এবং যেকোনো তিন শ্রেণীতে সর্বোচ্চ দুটি করে ভোট দিতে পারবে। প্রতি শ্রেণি থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। পাঁচ শ্রেণিতে পাঁচজন নির্বাচনের পর তাদের মধ্য হতে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত তিনজন নির্বাচিত হবে।
বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেছেন, শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুকাল থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা, সহনশীলতা ও মূল্যবোধ তৈরির উদ্দেশেই সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ‘স্টুডেন্টস কেবিনেট’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ভবিষ্যতে তারাই এ দেশ গড়ে তুলবে, পরিচালনা করবে। এজন্য তাদের এখন থেকেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, অন্যের মতের প্রতি সহনশীলতা চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন নির্বাচনী আমেজ চালুর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকরাও।