দিল্লি সফর শেষে দেশে ফিরে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার রাহাতের মৃত্যুর সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ফৌজদারি অপরাধ। তাই আদালত তার স্বাধীন বিষয়ে বিচারকাজ পরিচালনার জন্য এই ধরনের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করছেন। এই মামলা তো গণমাধ্যমে বলার জন্য হয়নি।’
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আবরার রাহাতের মৃত্যুর ঘটনায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আবরার হত্যার ঘটনায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে ৪৭ বিশিষ্ট নাগরিক উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। ৪৭ বিশিষ্ট নাগরিক যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা বড় কোনো বিষয় নয়। তারা তাদের বিবৃতি দিতেই পারেন। অবহেলাজনিত কারণে শিক্ষার্থী আবরারের মৃত্যুর পর তা লুকানোর অপচেষ্টা এবং পোস্টমর্টেম ছাড়া দাফন করা হয়, তা নিশ্চয়ই অপরাধ। তাছাড়া অবেহালাজনিত মৃত্যুর ইনভেস্টিগেশন চলছে জেনেও তা লুকোনোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদেও বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। সত্য-মিথ্যা তা ভিন্ন বিষয়। তবে আমি আশা করি দায়ীদের যাতে সঠিক বিচার হয় সেজন্য এই ৪৭ বিশিষ্ট নাগরিক আরেকটি বিবৃতি দেবেন।’
এদিকে প্রথম আলো সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও বিবৃতি দিয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সাউথ এশিয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয়। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে বলতে চাই, তারা বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধের জন্যও চেষ্টা করেছে। তাই তাদের বিবৃতি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। ফিলিস্তিনে যেখানে পাখি শিকারের মতো মানুষ মারা হয় সেখানে তারা বিবৃতি দেয় না। তাদের বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন আছে।’