জাতীয় পার্টির চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদ তার নিজ ক্ষমতাবলে ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদসহ ১৬ জনকে দলের বিভিন্ন পদ দিয়েছেন। এই মনোনয়ন ও সাংগঠনিক নির্দেশনা অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টির প্যাডে তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব পদায়ন করা হয়।
নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রওশন এরশাদ বলেন, ‘দলে যাদের ত্যাগ ও শ্রম রয়েছে, তাদের নতুন কমিটিতে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। তাই চিফ প্যাট্রন হিসেবে আমি বাদ পড়া নেতাদের মূল্যায়ন করেছি। তাছাড়া এম এ সাত্তার শুরু থেকে দলে আছেন। তাকে কো-চেয়ারম্যান করেছি। প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান দলের দুঃসময়ের নেতা। তিনি এরশাদকে মুক্ত করার আন্দোলনে জেল খেটেছেন। তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়েছে। সবাই মিলে যাতে দলকে শক্তিশালী করতে পারি।’
দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক নতুন কমিটিতে যাদের বিভিন্ন পদে মনোনয়ন দিয়েছেন তারা হলেন-−কো-চেয়ারম্যান রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ ও এম এ সাত্তার; ভাইস চেয়ারম্যান আমানত হোসেন আমানত ও সাবেক এমপি ইয়াহিয়া; যুগ্ম মহাসচিব মো. জসিম উদ্দিন ভুইয়া ও রেজাউল করিম; প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন রাজু, নূরে হাসনা লিলি চৌধুরী, অধ্যাপিকা রওশন আরা মান্নান, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনুর রশীদ, মাহজাবিন মুর্শেদ, নুরুল ইসলাম ওমর, আরিফুর রহমান খান। দলের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর অব. খালেদ আক্তারকে আবারো দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, রওশন এরশাদ দলের ১৬ নেতাকে বিভিন্ন পদে মনোনয়ন দিয়ে দুপুরে দলের মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গার কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। দলের এক নেতা মহাসচিবের কাছে চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘আমরা রওশন এরশাদের এমন কোনো চিঠি পাইনি। তাই কিছু বলতে পারবো না।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে বিরক্ত করবেন না। আমি কোনও কথা বলবো না। আমার প্রেস সেক্রেটারিকে ফোন করেন।’ কিন্তু প্রেস সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায়কে একাধিবার ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।