কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলসহ বিভিন্ন উপজেলায় আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে। কিশোরগঞ্জের তেরটি উপজেলায় গোল আলু ও মিষ্টি আলুর প্রচুর আবাদ হয়েছে। জেলায় ৫ হাজার ৫ শত ৯৩ শত হেক্টর জমিতে গোল আলু ও ১ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুসহ সর্ব মোট ৭হাজার ১ শত ৭৩ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে জেলায় ৫ হাজার ৬ শত ৯৮ শত হেক্টর জমিতে গোল আলু ও ১ হাজার ৬ শত ২ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুসহ সর্ব মোট ৭হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। এবারে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২৭ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ বেশি হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্রে জানা গেছে, জেলার হোসেনপুরে আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৮৫ হেক্টর জমিতে, আবাদ হয়েছে ৩৭০ হেক্টর জমিতে। সদরে আলুর লক্ষমাত্রা ছিলো ২৩০ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৩০০ হেক্টর জমিতে। পাকুন্দিয়ায় আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ১২০০ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ১২৩৫হেক্টর জমিতে। কটিয়াদীতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ৪৭৫ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫০৩ হেক্টর জমিতে। করিমগঞ্জে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ৫৮৫ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫৭০ হেক্টর জমিতে। তাড়াইলে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ২৪৫ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ২৬০ হেক্টর জমিতে। ইটনায় আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ৪৯০ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৪৮০ হেক্টর জমিতে। মিঠামইনে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ৩২৩ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৩৫২ হেক্টর জমিতে। নিকলিতে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ৬৬৫ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫৭০ হেক্টর জমিতে। অস্ট্রগ্রামে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫০০ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৫২০ হেক্টর জমিতে। বাজিতপুরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৩০ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ৪৯০ হেক্টর জমিতে। কুলিয়ারচরে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ২৭০ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ২৯০ হেক্টর জমিতে। ভৈরবে আলু আবাদের লক্ষমাত্রা ছিলো ১৩২০ হেক্টর, এর মধ্যে আবাদ হয়েছে ১৪৭০ হেক্টর জমিতে।
কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক) ড. মোহিত কুমার দে এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এবারে জেলায় আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলু আবাদ হয়েছে।