বগুড়া শেরপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সেচ্ছাচারিতা অনিয়ম ও দুর্র্নীতি অনিয়ম এখন ওপেন সিক্রেট বিষয়ে পরিনত হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে তার অনিয়ম সেচ্ছাচারিতার বিষয়টি প্রকাশ হলেও এ বিষয়ে যেন দেখা কেউ নেই ।
দূর্নীতির সাগরে হাবুডুবু খাওয়া এই কর্মকর্তার অনিয়ম দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন উপজেলার চালকল মিল মালিকরা। তদন্ত কমিটির কোন তোয়াক্কা না করেই মিল মালিক সমিতির কতিপয় দূনীর্তিবাজদের সাথে যোগাযোগ করে গোপনে তালিকা প্রেরন করেছে সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে। যে কারনে প্রেরিত চুড়ান্ত বিভাজনের তালিকা টি প্রকাশে বর্তমানের গড়িমসি করছে এই খাদ্র কর্মকার্ত ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি ২০১৯ / ২০ আমন মৌসুমে মিল ভিত্তিক সিদ্ধ চালের বিভাজনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার বিষয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থা ভিত্তিক পরপর তিনবার সংবাদ প্রকাশের পড় নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ঠ কর্তপক্ষ।
এর পড়েই উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সেকেন্দার রবিউল ইসলাম গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ইং গণমাধ্যম কে বলেন-বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে ৫সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সঠিক ভাবে বিভাজনের জন্য নতুন করে মিল চাতালের অবকাঠামো ও ধারন ক্ষমতা পাক্ষিক সক্ষমতা সকল দিক সঠিক যাচাই বাছাই করতে মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানানো হয়। সে সময় বিষয়টি টি নিশ্চিত করেছিলেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অফিসার লিয়াকত আলী শেখ।
পরবর্তীতে এ বিষয় টি নিয়ে শেরপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-সময় স্বল্পতার কারনে প্রথম তৈরী করা বিভাজনের ৩৫৬ টি মিল থেকে একাধিক নামের লাইসেন্স ও বিভিন্ন কারনে মিল কল মালিক সমিতির সাথে আলোচনা করে আরো প্রায় ১০৮ টি চাল কলের নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা তৈরী করা হয়েছে। যোগ্যতা থাকা সত্বেও প্রথমেই যে চাল মিলকল গুলোর নাম বাদ পড়েছে তাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন-এই মুহুর্তে তালিকা প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলে তিনি নতুৃন সংশোধিত তালিকা দিতে আপত্তি প্রকাশ করেছেন।
এদিকে তদন্ত কমিটির সদস্য উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার মো: আল আমিন বলেন-নামে মাত্র তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন লিখিত চিঠি পাই নি,আমাকে মোবাইলে জানানো হয়েছিলো। আর শেরপুর উপজেলায় প্রায় ৫১৭ টি মিল চাতাল রয়েছে এগুলো সরেজমিনে তদন্ত করতে অনেক সময় প্রয়োজন। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী শেখ বলেন-সর্বশেষ তালিকা করা হয়েছে কিনা আমার জানা নেই । হয়ে থাকলে সে খানে আমার কোন মতামত নেয়া হয়নি।
বগুড়া জেলার খাদ্য নিয়ন্তক মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন-শেরপুর উপজেলার চাল কলের চুড়ান্ত তালিকা তৈরী না হওয়ায় এখন ও চাউল কেনা শুরু করতে পারি নাই ।
এদিকে সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে, মোঃ সেকেন্দার রবিউল ইসলাম বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তক হিসাবে যোগদান একের পর এক বিতর্কিত কর্মকান্ডে জরিয়ে পড়ায় বিব্ররত খাদ্য বিভাগ। ব্যাক্তি স্বার্থে দক্ষ হলেও সরকারী কাজে অদক্ষ এই কর্মকর্তার কারণে ভাবমুতি ক্ষুন্ন হচ্ছে জেলা ও বিভাগীয় খাদ্য বিভাগের। এই উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তকের কর্মকার্ন্ড দেশের খাদ্য বিভাগের স্বার্থ পরিপন্থি হলেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছেনা জেলা বা আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তকদের কর্মস্থল নিধারণে বিষয়টি অনেকাংশে করে থাকে খাদ্য অধিদপ্তর। চলতি আমন মৌসুমে স্থানীয় দুই খাদ্য গুদাম শেরপুর ধুনট রোড এবং মির্জাপুরে- ২৬ টাকা কেজি ধান ২হাজার ৭ শত ২৭ মেঃটন, ৩৬ টাকা কেজি চাউল ৪ হাজার ৯শত ৯৩ মেঃটন ২০১৯/০২০ অর্থ বছরে সরকারিভাবে সংগ্রহ প্রায় ৩ সস্পাহ পৃর্বে শুরু করার নিদের্শ থাকলেও পৃর্ব-প্রস্ততি নিতে পারেনি স্থানীয় খাদ্য বিভাগ। গত ১৬ সেস্মটবার ২০১৯ তারিখে বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তর দেশের জেলা. উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তকদের চিঠি দিয়ে স্ব-স্ব উপজেলার সচল চাউল কল পরিদর্শন এবং চাউল কলের পাখিক ছাটাই ক্ষমতা নির্নয় পৃর্বক তালিকাভুক্ত চাউল কলের বরাদ্দের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্তকদের নিকট উপস্থাপন করবেন স্ব-স্ব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তক। ৩ সদস্যে সার্ভে কমিটি আহবায়ক স্ব-স্ব উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তক।খাদ্য অধিদপ্তর প্রায় ৪ মাস প্রর্বে আমন ধান চাউল সংগ্রহ করার প্রস্ততি নিতে চিঠি দিয়ে চাউল কলের পাখিক ছাটাই ক্ষমতা নির্নয় করার নিদেশ দিলেও অনিহার কারনে ব্যথ হয়েছে শেরপুর ও ধুনট উপজেলা খাদ্য বিভাগ। প্রকাশ করা যায় বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তক মোঃ রবিউল ইসলাম সেকেন্দার অতিরিক্ত ধুনট উপজেলা খাাদ্য নিয়ন্তকের দায়িত্ব প্রাপ্ত এই কর্মকর্তা ওপিত দায়িত্ব পালনে অনেকটা ব্যর্থ।
আমন ধান চাউল সংগ্রহের প্রস্তুতি নিতে প্রায় ৪/৫ মাস পৃবে খাদ্য অধিদপ্তর চিঠি দিলেও সফলতা আসেনি শেরপুর ওধুনট উপজেলা খাদ্য বিভাগের। চলতি আমন মৌসুমের সংগ্রহ কার্যক্রমের গতি না থাকলেও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তক মোঃ রবিউল ইসলাম সেকেন্দারের বিরুদ্ধে চুর্য়ান্ত পদক্ষেপ নিতে পারছেন না জেলা ও আঞলিক খাদ্য বিভাগ। গত ২০ ডিস্মেবার ২০১৯ তারিখে শেরপুর উপজেলার সনদপ্রাপ্ত অটো,সেমিঅটো,হাচকিং ও বাংলা হলারের ৫১৬ টি চাউল কল সরোজমিনে পরিদশন এব স্ব-স্ব চাউল কলের ধান ভিজানো হাউজ,ধান শুকানো চাতাল ,ধান চাউল মজুদের গুদাম এবং অশ্বশক্তি সম্পুন বৈদ্যাতিক মটর পর্যবেক্ষন এবং পাখিক ছটিাই ক্ষমতা নির্নয়ে অনেকটা পক্ষপাতিত্বের প্রমান পাওয়া যায় শেরপুর উপজেলার সচল চাউল কলের বরাদ্দের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্তকের কার্যলায়ে দাখিল করা তালিকা দেখে। শেরপুর উপজেলার দাখিলকরা চাউল কলের তালিকায় ক্ষুদ্ধ উপজেলা চাউল কল মালিক এবং সমিতি নেত্রীবৃন্দ। ২৩ ডিস্মেবার বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের সময় শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তক মোঃ রবিউল ইসলাম সেকেন্দারকে অবরোধ করার ঘটনা রাজশাহি আঞলিক খাদ্য বিভাগে ২০১৯ সালে প্রথম। এবং সরকারি আমন ধান চাউল সংগ্রহ মৌসুম ২০১৯/০২০ বছর প্রথম ঘটনায় বিব্ররত খাদ্য বিভাগ। ক্ষুদ্দ শেরপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্তক মোঃ রবিউল ইসলাম সেকেন্দারের কর্মকান্ডে এমনটা প্রতিয়মান হয় গত কাল সোমবার ১৩ ই জানুয়ারি সন্ধা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় মুঠো ফোনে বগুড়া জেলার সুযোগ্য দায়িত্বশীল জেলা খাদ্য নিয়ন্তক জনাব মোঃ সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার সময়। বিব্ররত বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্তক এই প্রতিবেদককে জানান কিভাবে চাউল কেনা শুরু করব ? উপজেলা খাদ্য বিভাগ এখন পযন্ত চাউল কলের চুয়ান্ত তালিকা করতে পারেনি।