উপকুলীয় জনপদ খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন কয়রা থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোঃ রবিউল হোসেন। তিনি যোগদানের পর কমে গেছে মাদকের ভয়বহতা, খুন-খারাপি, অপহরণ, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ চাঁদাবাজির ঘটনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বস্তিবোধ করছেন উপজেলার সকল শ্রেনীর মানুষ। তার এ সফলতাকে সাধুবাদ জানিয়েছে সর্বস্তরের জনসাধারন।
সরেজমিনে ঘুরে সাধারণ মানুষের কথা বলে জানা গেছে হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে কয়রায় অপরাধ প্রবণ। পাল্টে গেছে এ উপজেলার দৃশ্যপট। গা ঢাকা দিয়েছে অনেক অপরাধী। অপরাধীদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে শুরু করেছে। পুলিশের কৌশলী ভূমিকার কারণেই ভেঙ্গে পড়েছে অপরাধীচক্রের নেটওয়ার্ক। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে কয়রা থানা পুলিশের। বিশেষ করে থানার ওসি মোঃ রবিউল হোসেনের যোগদানের পর অপরাধ দমনে তার আন্তরিকতার প্রমাণ মিলেছে। কয়রা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোহাঃ হুমায়ুন কবির বলেন,কয়রা থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ যোগদানের মাত্র ৫ মাসেই বদলিয়ে দিয়েছেন উপজেলার চিত্র। কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে পুলিশী তৎপরতা জোরদার থাকায় অতীতের তুলনায় অপরাধ কর্মকান্ডের সংখ্যা এখন অনেক কম। ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন,এক সময় যেখানে বনদস্যুরা লোকালয়ে প্রবেশ করে গ্রামের নিরীহ মানুষকে জিম্মি করে মুক্তিপন আদায় সহ সর্বস্ব লুটে নিত। বর্তমানে আইন শৃংখলা ভাল হওয়ায় সে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। গত কয়েক মাসে পুলিশের অভিযানের মুখে ভয়ংকর দাগী অপরাধীরা এলাকা ছাড়া হওয়ায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দেখা দিয়েছে।
উপজেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবি এ্যাাডঃ আলহাজ্ব কেরামত আলী বলেন কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন কয়েক মাস দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে চোর, ডাকাত, মাদক, বনদস্যু, জঙ্গী, ইভটিজিং, নাশকতা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে যে ধরনের ভুমিকা নিয়ে কাজ করেছে তা অব্যশই প্রশাংসানীয়। এ ছাড়াও পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বনদস্যু, জঙ্গি, চোর, ডাকাত, মাদক দ্রব্য বিক্রেতা, মাদক, সেবনকারী , ইভটিজিং, নাশকতা সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। উপজেলা দুপ্রোকের সভাপতি মোল্যা আবু দাউদ বলেন,থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ এর যুগান্তরী পদক্ষেপের জন্য বর্তমান আমন মৌসুমে জমি জায়গা ধান কাটাকাটি নিয়ে কোন মামলা হয়নি এবং থানায় মামলার জট কমে গেছে, তাছাড়া তিনি তদন্ত ছাড়া কোন মামলা রেকর্ড করে না। থানা পুলিশের নিয়মিত টহলদলের সাথে ৫টি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় সার্বক্ষনিক টহল জোরদার করায় সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে বনদস্যুদের দৌরাত্ব উল্লেখযোগ্য ভাবে নাই বললে তিনি জানান। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির এই উন্নতি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ও জেলে বাওয়ালীদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তিনি যোগদানের পর থেকে থানায় দালালদের দৌরাত্ম নেই । নিয়মিত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার রয়েছে অতীতের তুলনায় অনেক বেশি। ডাব্লু এ তামিল করা হয়েছে রের্কড পরিমান। এমন সাহসী পদক্ষেপ গ্রহন করায় ওসি মোঃ রবিউল হোসেন উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
কয়রা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ রবিউল হেসেন বলেন, জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আজীবন কাজ করে যাব। কয়রা থানাকে সব ধরণের অপরাধমুক্ত ও একটি আদর্শ থানা হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি কয়রার সার্বিক আইন শৃংখলা ভাল রাখার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।