চলতি বছর উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার তালিকায় নির্বাচিত হয়ে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হয়েছেন পাবনা বেড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী। তিনি বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত আছেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক জনাব কবীর মাহমুদ জানান, প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে পাবনা জেলার নয়টি উজেলার মধ্যে বেড়া উপজেলার ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী সবার চেয়ে ভালো কাজ করেছে বলে বিবেচিত হয়েছেন। সে কারনেই জেলা থেকে তাকে এবারে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইউএনও হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৩০ তম বিসিএস-এর এই কর্মকর্তা ২০১৮ সালে বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তার আগে তিনি কক্সবাজার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্যাম্প-১২ ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বেড়ায় যোগদান করার পর থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে টিম ওয়ার্ক হিসাবে কাজ করছেন। উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাব দল গঠন, শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙিনা পরিষ্কার-পরিছ্ছন্ন রাখা, শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকগণের নিয়মিত উপস্থিতি, বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্যবই ব্যবহার নিশ্চিত করা, বিভিন্ন স্কুলে বেঞ্চ এবং আসবাবপত্র সরবরাহ, স্কুলে টয়লেট ব্যবস্থা উন্নত করা ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ অবদান রেখে যাচ্ছেন। এছাড়াও দারিদ্র্য পীড়িত এলাকা হওয়ায় বেড়া উপজেলায় স্কুল মিল প্রকল্প চালু রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৫ টি বিদ্যালয়ে সপ্তাহে ৩ দিন শিশুদেরকে খিচুরি খাওয়ানো হয়। খাবারটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্য সম্মত হওয়া নিশ্চিত করতে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকীর উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ১৫ টি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে (৫৪০০ জন) স্টিলের টিফিন বক্স প্রদান করা হয়েছে। পচনশীল এবং অপচনশীল আবর্জনা পৃথক স্থানে ফেলা উৎসাহিত করতে ৩০ টি প্রতিষ্ঠানে ২ টি করে ভিন্ন রংয়ের ডাস্টবিন প্রদান করেছেন। এ কারণে বেড়ায় শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তা ছাড়া বাল্য বিবাহ, পলিথিনমুক্ত বেড়া গড়ার পিছনে তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। উপজেলার যমুনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তলোনকারী প্রভাবশালিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো জাতি গঠনের সূচনা স্থান। শিক্ষকগণ যদি নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত হন, সময়ের নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলেন, তবে ছাত্র-ছাত্রীরাও শৃঙ্খলা মেনে চলবে। সঠিকভাবে পাঠদানের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্ক্রমের মাধ্যমে ছেলে-মেয়েদেরকে বিনয়ী এবং সাহসী করে গড়ে তুলতে পারলে পথ হারাবে না বাংলাদেশ।