আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে চলাচলকারি ট্রেনটির নাম ‘ফরিদপুর এক্সপ্রেস’ পাল্টিয়ে ‘রাজবাড়ী এক্সপ্রেস’ করা হচ্ছে। এ নাম পরিবর্তসেনর ঘটনায় ফরিদপুরেরর সর্বস্তরের ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফরিদপুর এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি এতদিন রাজবাড়ী ফরিদপুর এবং ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কালুখালী, ভাটিয়াপাড়া পথে চলাচল করতো। ভাঙ্গার সাথে নতুন সংযোগ স্থাপনের পর ওই ট্রেনটির নাম পরিবর্তন করে ‘রাজবাড়ী এক্সপ্রেস’ রাখা হয়েছে।
আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা পথে রেল চলাচল শুরু হচ্ছে। এর ফলে ভাঙা উপজেলা এই প্রথমবারের মতো রেল সেবার আওতায় আসছে। আগে রাজবাড়ি থেকে ফরিদপুর হয়ে ট্রেন যেতো পুখুড়িয়া পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে রেল চলাচল শুরু হলে রাজবাড়ি-ফরিদপুরের মধ্যেই রেল চলাচল সীমাবদ্ধ ছিল। লোকশান হচ্ছে এই অজুহাতে বৃষ্ট্রিশ ভারতে প্রতিষ্ঠিত রাজবাড়ি থেকে ফরিদপুর এই ৩০ কিলোমিটার পথে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয় ১৯৯৮ সালের ১৫ মার্চ। কিন্তু এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দাবির মুখে ২০১০ সালের ১০ মার্চ এ পথে রেল চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট।
রেল কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হলে ফরিদপুর রাজবাড়ী রেল পথ সম্প্রসারিত করে ভাঙা হয়ে বরিশাল পর্যন্ত নেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ভাঙ্গাকে জংশন করে একটি পথ ঢাকার দিকে এবং অপর পথটি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত যাওয়ার কথা। ফরিদপুর থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেল চলাচল শুরু হচ্ছে এ খবরে ফরিদপুর ও ভাঙ্গার আধিবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি রেল পথের সেবা পরিপূর্ণ ভাবে নেয়ার জন্য বিভিন্ন দাবি দাওয়ার কথাও জানাচ্ছেন তারা। ভাঙা মহিলা কলেজের প্রভাষক অজয় দাস জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে তিন বার ভাঙা থেকে আসা-যাওয়া করার সুযোগ থাকতে হবে। নির্ধারিত সময় মেনে চলা ও ভাড়া সহনীয় মাত্রায় থাকতে হবে যাতে সব শ্রেণির মানুষ নির্বিঘেœ ট্রেনে চলাচল করার সুযোগ পায়। ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহাতাব আলী বলেন, বর্তমানে দিনে দুইবার ট্রেন যাতায়ত করে। এ সংখ্যা বাড়াতে হবে। অম্বিকাপুর ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি অম্বিকাপুর স্টেশনে ট্রেন থামুক। সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
ফরিদপুর টিআইবি-সনাক সচেতন কমিটির সভাপতি শিপ্রা গোস্বামী বলেন, এ পথে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বর্তমানে ফরিদপুর এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ট্রেন দিনে দুই বার রাজবাড়ী ও ফরিদপুর আসা-যাওয়া করে। এ সংখ্যা ও আওতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি এ পথে আন্ত নগর ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।