রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় চলতি মৌসুমে রোপন করা বীজতলা নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভা এলাকায় রোপিত অধিকাংশ বীজতলা তীব্র শীতের কারনে নষ্ট হচ্ছে বলে কৃষকরা জানিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন বোরো মৌসূমে বাগমারায় ১৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। গত বছর ধানের বাজারদর কম হওয়ায় চলতি মৌসুমে ধান চাষে আগ্রহ কমে গেছে বলেও কৃষকরা জানিয়েছেন। যে সমস্ত জমিতে ধান রোপনের জন্য বীজতলা বপন করা হয়েছে সেগুলো ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীতের কারনে চারা গজাতে বাধাগ্রস্থ হয়ে নষ্ট হচ্ছে বলে জানা গেছে। শীত বা কুয়াশার হাত থেকে রক্ষায় কৃষকরা বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করেও কোন ফল হচ্ছেনা। আগাম ধান রোপনের উদ্দেশ্যে কৃষকরা বিজতলা বপন করে ক্ষতির মুখে পড়েন। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেয়ায় কৃষকরা বিজতলা রক্ষায় পলিধিন দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। উপজেলার মাড়িয়া, হামিরকুৎসা, যোগীপাড়া, বাসুপাড়া, কাচারীকোয়ালীপাড়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্ষেতগুলোতে বিজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা গেছে। মাড়িয়া ইউনিয়নের কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। হামিরকুৎসা ইউনিয়নের আলোনগর গ্রামের আব্দুল মান্নান, আব্দুর রাজ্জাক, কালুপাড়ার জোনাব আলী জানান, তাদের বপন করা বীজতলা তীব্র শীতের কারনে চারা বৃদ্ধি পাচ্ছেনা। কৃষকরা জানান, শুরুতেই বিজতলা নষ্ট হয়ে গেছে মৌসূমের শুরুতে বিজ সংকট দেখা দিতে পারে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান জানায়, বর্তমানে কোল্ড ইনজুরিতে বিজতলা যাতে রক্ষা পায় সেজন্য কৃষকদের বিজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখাসহ নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।