পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবীর মজুমদারের দুই কোটি টাকার দুর্নীতি অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদক। অধ্যক্ষের দুর্নীতির ব্যাপারে বুধবার সকালে দুদক পাবনা কার্যালয়ে কলেজের ৮ জন এমএলএসএস, কর্মচারী, ৪ জন ছাত্রনেতা ও দুই জন শিক্ষকের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সুত্র জানায়, যে সকল পিয়ন- কর্মচারী, ছাত্রনেতা এবং শিক্ষকের নামে ভুয়া বিল ও ভাউচারের মাধ্যমে প্রায় দুই কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে গতকাল বুধবার তাদেরই সাক্ষ্যে নেওয়া হয়।
সুত্র জানায়, লিখিত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবীর মজুমদারের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ২০১৮ সালের ২১ মার্চ এক তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা সচিবের কাছে দাখিল করে। যার স্মারক নং- ডিআইএ/ পাবনা/ সরকারি/ ১-সি/ রাজ ১৮৫১/২। ঐ রিপোর্টে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন খাতে অনিয়ম করে প্রায় দুই কোটি টাকা আতœসাত এবং দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়। রহস্যজনক কারণে আজ পর্যন্ত ওই রিপোর্টের কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বরের সরকারি এক অডিট প্রতিবেদনেও অবৈধভাবে আদায়কৃত প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য অধ্যক্ষকে নিদের্শ দেওয়া হয়। তবে এখনও তিনি সে টাকা জমা দেনননি।
দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবনা অফিসের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এক অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবীর মজুমদার ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভিন্ন খাতের প্রায় দুই কোটি টাকা নানা ভ’য়া বিল ও ভাওচার করে আতœসাত করেন বলে অভিযোগ উঠে। এ নিয়ে সমকালসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট ৮ জনকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবীর মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, একটি মহল তাকে হেয় করতে নানা অপপ্রচার করছে। দুদক তাদের অফিসের বিষয় নিয়ে শিক্ষকসহ ৮ কর্মচারীকে ডেকেছে। তারা সাক্ষ্য দিয়েছে। এতে দুর্নীতির কোনো বিষয় নেই বলে তিনি জানান।