বগুড়ার শেরপুরে ডাকাতি কার্যক্রম চালানোর সময় আন্ত:জেলার ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।গত বুধবার গভীর রাতে শেরপুরের ভবানীপুর বাজারের পশ্চিম পাশের্^ লিল গ্রামে রাস্তায়
ডাকাতি কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হল, উল্লাপাড়া থানার (মির্জাপুর ভেংরী স্কুল পাড়া) ভেংরী গ্রামের বদিউজ্জামান বিদুর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম বিশা (৪০), রায়গঞ্জ থানার কোদলা দিঘর গ্রামের মোঃ মহির উদ্দিন ছেলে সাহেদ আলী (৪২), দবরাজপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেন ছেলে মোঃ আশরাফ আলী (৪২), নাটোর জেলা বাগাতিপাড়া থানার মারিয়া গ্রামের মৃত খোকা ঋষি ছেলে শ্রী মনি ঋষি মুচী (৫০), ধুনট থানার তারাকান্দি গ্রামের শহিদুল ইসলাম ছেলে মোঃ রাসেল (২১) ,ভারত জেলার ও থানার গঙ্গরামপুর পূর্নতলা (উলিপুর মজনু জুট মিলের পেছনে) এলাকার মৃত গনেশ চন্দ্র সরকার ছেলে শ্রী জয় চন্দ্র সরকার (১৯), শেরপুর থানার পানিসাড়া গ্রামের চাঁন মিয়া ছেলে মোঃ রুবেল (২০)।
গতকাল ২ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার )দুপুর শেরপুর থানায় এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ গাজিউর রহমান সাংবাদিকদের অবহিত করে জানান, গত ১জানুয়ারী বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টায় দিকে ডাকাতির উদ্দেশ্যে উপজেলার ভবানীপুর বাজারের পশ্চিম পাশের্^ লিল গ্রামে রাস্তার লোকজনকে আটকিয়ে ডাকাতি কার্যক্রম চালাচ্ছিল একদল ডাকাত।
সুনিদিষ্ঠ সংবাদের ভিত্তিতে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি সার্বিক) া মোঃ হুমায়ুন কবীর, ও আন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ বুলবুল ইসলাম এর নের্তৃতে এসআই (নিঃ) পুতুল মোহন্ত, এএসআই (নিঃ) মোঃ মিলন হোসেন সহ কয়েক জন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পৌছায়।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলটি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধাওয়া দিয়ে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ১টি লোহার তৈরী ধারালো ২১ ইঞ্চি লম্বা ছোরা, ২০ ইঞ্চি ও ২১ ইঞ্চি লম্বা ২টি হাসুয়া, ৩ টি বাঁশের লাঠি ও ৩০ হাত নাইলোনের রশি উদ্ধার করে। এ সময় সঙ্গে থাকা আরো কয়েকজন ডাকাত পালিয়ে যায়। এদিকে পরবর্তীতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়া অপর ডাকাত মুনি মুচীকে সিরাজগঞ্জ রোড হতে গ্রেফতার করে শেরপুর থানা পুলিশের একটি দল।
প্রেস ব্রিফিংকালে আরো জানানো হয়,আটককৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা
বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহীসহ আশপাশের জেলাগুলোতে গরু চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই ঘটনার সাথে জরিত । ডাকাত নজরুল ইসলাম বিশার বিরুদ্ধে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা ও নাটোর জেলায় মোট ১০টি চুরি ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। এছাড়া ডাকাত সাহেদ, আশরাফ, রাসেল ও মনি মুচীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় একাধিক চুরি ও ডাকাতির মামলা রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২৬ জুলাই দিবাগত রাতে শেরপুর থানার ভবানীপুর বাজারের পশ্চিম পাশের্^ প্রজনন ব্যবসায়ী শাজাহান হত্যা ও তার গরু ডাকাতির সাথে গ্রেফতারকৃত ডাকাতেরা সরাসরি জড়িত আছে বলে জানান।
উল্লেখ্য মাত্র আগের ২৪ঘন্টার ব্যবধানে শেরপুর থানা পুলিশ ২কুখ্যাত ডাকাত ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনিকে গ্রেপ্তার করে।