অবশেষে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার ৫ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের দরপত্র গ্রহনের প্রক্রিয়া বছরের শেষ দিনে কোন অঘটন ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। এর পুর্বে গত অক্টোবর মাসে প্রথম দফার দরপত্রে দর জমা দেওয়া নিয়ে এক ঠিকাদারের সাথে ৪৮ঠিকাদারের সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফলে কর্তৃপক্ষ পুরো দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল এবং ডিসেম্বরে ফের দরপত্র আহবান করেন।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের “গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প” এর অধীনে আভ্যন্তরিন সড়ক নির্মান কাজের দরপত্রের দর জমা দেওয়ার শেষ এবং দরপত্র খোলার দিন ছিল ২৪ ডিসেম্বর। এদিন অনলাইনে জমা দেওয়া দরপত্র ডাউন লোড করা হয়। এতে পৌর সভার নিবন্ধিত ৪৯ ঠিকাদোরের মধ্যে ৪৩ ঠিকাদার ৮ গ্রুপের কাজের জন্য ৫ ভাগ কম দর দিয়ে দরপত্র জমা দেন। ফলে মঙ্গলবার দুপুরে লটারীর মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। এর পুর্বে প্রথম দফার দরপত্র আহবানের পর ৪৯ ঠিকাদারের মধ্যে অলিখিত সমঝোতা হয়েছিল যে, যেহেতু ১৭ লাখ টাকা ব্যায়ে তদবিরের মাধ্যমে কাজ আনা হয়েছে সেহেতু সব ঠিকাদার সম দরে দরপত্র জমা দেবেন। পরে লটারী করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হবে। লটারীতে নির্বাচিত ৮ প্যাকেজের ৮ ঠিকাদারের সাথে অবশিষ্ট ঠিকাদার যৌথ ভাবে কাজ করবেন। বিষয়টি সবাই অবগত মর্মে নিশ্চিত হয়ে ৪৮ ঠিকাদার যে যার অবস্থান থেকে সম দরে সিডিউল জমা দেন। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটে মোঃ সোহেল নামক ঠিকাদারের বেলায়। তিনি গড়ে প্রায় সোয়া দুই পার্সেন্ট কম দরে সিডিউল জমা দেন। ৩১ অক্টোবর দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ ও দরপত্র খোলার দিন দরপত্র খোলার পর সমঝোতা অমান্য করার ঘটনাটি অপর সব ঠিকাদারের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে ঘটনাটি টক অব দ্যা সান্তাহারে পরিনত হয়। এ ঘটনায় পৌরসভার মেয়রও বেঁকে বসেন। ৪৮ ঠিকাদার এবং মেয়র পৃথক ভাবে দরপত্র প্রতিযোগীতামুলক না হবার কারণ দেখিয়ে দরপত্র বাতিল করার অনুরোধ জানিয়ে প্রকল্প পরিচালককে চিঠি দেন। বিষয়টির দ্রুত সরেজমিন তদন্ত করে ওই দরপত্র বাতিল করেন প্রকল্প পরিচালক। এবং ৮ডিসেম্বর ফের দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহবান করেন।