বগুড়ায় পারিবারীক জমাজমির ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রলীগ নেতা ও তার ক্যাডার বাহিনীর হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলমগীর হোসেন (৩৩)নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। একই ঘটনায়আহত হয়েছেন নিহতের বৃদ্ধ বাবা মা সহ কমপক্ষে ৩জন। এসময় ছুরিকাহত হয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন নিহতের ছোট বাই লেমন(২৬) ।
নৃশংস হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে গতকাল শনিবার বিকালে শাহজাহানপুর উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকায় ।
নিহত আলমগীর হোসেন এবং আহত লেমন রাজারামপুর এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। আলমগীর হোসেন সে ঢাকার একটি প্রাইভেট ফার্মে কর্মরত।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায় , উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর এলাকায় নিজবাড়ীর পাশ্ববর্তী স্থানে একখন্ড জমির দখল নিয়ে নিহতের পরিবারের সাথে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জুলকার নাইনের সাথে বিবাদ চলে আসছিল । ওই জমি নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিশ বৈঠকের পরও কোন সুরাহা হয়নি। গত শুক্রবার চুড়ান্ত ভাবে একটি শালিশ বেঠকের কথা থাকলেও রহস্যজনক কারনে তা অনুষ্ঠিত হয়নি।
এদিকে গতকাল বিকাল ৩টার দিকে নিহত আলমগীর বাড়ীর পাশে বসে ঘড়নির্মান কাজ তদারকি করার সময় ছাত্রলীগ নেতা জুলকার নাইনের নের্তৃতে ১০/১২টি মোটর সাইকেল যোগে ২০/২৫জন সশস্ত্র ক্যাডার সেখানে যায় । এসময় তারা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই আলমগীর হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে তাকে উপুর্যুপরিভাবে ছুরিকাঘাত করে। এতে রক্তাক্ত হয়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ওই সময় তাকে রক্ষায় নিহতের ছোট ভাই লেমন ও তার বৃদ্ধা মা বাবা এগিয়ে গেলে জুলকার নাইনের বাহিনীর সন্ত্রাসীরা তাদের উপরও হামলা চালিয়ে মারপিট করার এক পর্যায়ে লেমনকে ছুরিকাঘাত করে । পরে আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সন্ধ্যার আগে আলমগীর হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এলাকাবাসী জানায় দুপুরের পর এলাকায় হত্যাকান্ড সংঘটিত হবার পরও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে অনেক দেরী করে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় সাধারন মানুষদের মধ্য তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এ বিষয়ে পুলিশের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।