ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদরে আব্দুল শিকদার ডাঙ্গী গ্রামের জামিয়া ইসলামিয়া মারকাযুল উলুম মাদ্রাসার মক্তব শ্রেনীর শিশু ছাত্র আব্দুল রহমান (১০) শিক্ষকদের দ্বারা বলৎকারের অভিযোগে বুধবার সকালে মারা গেছে। শিশুটি ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মাওঃ আব্দুস সোবানের ছেলে। বুধবার ভোররাতে শিশুটি মাদ্রাসার অজুখানা থেকে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে চরভদ্রাসন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর তাকে তাৎক্ষণিক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালে রেফার্ড করা হয়। উক্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত্যু ঘোষনা করেন এবং শিশুটির গুহ্যদ্বারে গুরুতর জখম রয়েছে বলে তার অভিভাবকদের জানান। পরে নিহত শিশুটির ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে শিশুটি মৃত্যুর পর বলৎকারের অভিযোগে চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ ও সেকেন্ড অফিসার এসআই শহীদুল ইসলাম সরেজমিনে গিয়ে উক্ত মাদ্রাসা প্রধান সহ চার শিক্ষক ও দুই ছাত্রকে থানায় আটক রাখা হয়েছে। আটকৃতরা হলেন-উক্ত মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রিন্সিপাল) মুফতী আব্দুস সবুর, শিক্ষক মাওঃ সায়েদুল ইসলাম, মাওঃ আসাদ হোসাইন, মাওঃ মুহতাসিম বিল্লাহ সহ মাদ্রাসা ছাত্র আঃ রহমান ও রবিউল ইসলাম।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, “ প্রকৃত দোষী খুজে বের করতে আপাতত আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে”। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহীদুল ইসরাম বলেন, “ বাদীপক্ষ লাশের সাথে ফরিদপুর হাসপাতালে রয়েছে, তারা আসার পর মামলা রুজু হবে”।
নিহত শিশুর পিতা মাওঃ আব্দুস সোবান মুঠোফোনে জানান, “ পাষন্ডরা শিশুটিকে একাধিকবার বলৎকার করে মেরে ফেলেছে, আমি দোষীদের উপযুক্ত বিচার চাই”। আর লাশের সাথে থাকা শিশুটির আপন নানী ফেরদৌসী বেগম আর্তনাত কণ্ঠে মুঠোফোনে জানায়, “ আমার নাতীকে বলৎকার করে গুহ্যদ্বার ছিড়ে ফেলা হয়েছে”।