রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজ অডিটরিয়ামে রংপুর বিভাগের ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের ‘মাসিক অপরাধ ও আইন শৃঙ্খলা পর্যালোচনা সভা’ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অত্র রেঞ্জের গত নভেম্বর মাসের অপরাধ পরিস্থিতি, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ পরিস্থিতিসহ আইন শৃঙ্খলা ও অপরাধ বিষয়ক অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় অত্র রেঞ্জে কর্মরত সকল স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কর্মস্পৃহা ও কর্মচাঞ্চল্য বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৯ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে অত্র রেঞ্জের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের জন্য নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তাদের হাতে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, স¤মাননা স্মারক হিসেবে অর্থ পুরস্কার ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এছাড়াও একই স্থানে থানার অফিসার ইনচার্জ ও সার্কেলের দায়িত্বে নিয়েজিত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে একই স্থানে ‘বিদায়’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। চাকরি লগ্ন থেকেই এ বিদায়ের সূচনা। চাকরি জীবনে চলার পথের বাঁকে বাঁকে অনেক বিদায় অনিবার্য হয়ে ওঠে। রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন, পিপিএম-সেবা, লালমনিরহাটের পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, পিপিএম, নীলফামারীর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পিপিএম গণের বদলীজনীত কারণে তাঁদেরকে ঘিরে এ বিদায়ী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন স্তরের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অক্টোবর মাসে শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে নীলফামারী সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রুহুল আমিন, শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে গাইবান্ধা সদর থানার এসআই মোঃ আবু হাসান, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর থানার এসআই ইমাদ উদ্দিন মোঃ ফারুক ফিরোজ, শ্রেষ্ঠ মাদক ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধারকারী কর্মকর্তা হিসেবে দিনাজপুর ডিবি’র এসআই মোঃ মোকারম হোসেন, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে গাইবান্ধা সদর থানার এএসআই মোঃ শওকত আলী সিদ্দিকী, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইউনিট হিসেবে রংপুর ট্রাফিক ইউনিটের টিআই খান মোঃ মিজানুর ফাহ্মি, শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান এবং শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সুপার, মোহাঃ মনিরুজ্জামান, পিপিএম, পুরষ্কার গ্রহণ করেন। এছাড়াও ক্লুলেস খুন মামলার রহস্য উদঘাটনে তদারকি করার জন্য দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ, রহস্য উদঘাটনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য দিনাজপুর জেলার বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব এটিএম গোলাম রসুল ও রহস্য উদঘাটনের জন্য রংপুর ডিবি’র এসআই মোঃ শাহ আলম, চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতারের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ তানভিরুল ইসলাম, চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধারে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য একই জেলা ও থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ গোলাম মর্তুজা, অস্ত্র উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের জন্য গাইবান্ধা জেলার ডিবি’র এসআই মোঃ আবু নেওয়াজ সরদার, মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারে গুলি বর্ষণ সাহসীকতাপূর্ণ কাজের জন্য লালমনিরহাট জেলার ডিবি’র কনস্টেবল/৮০০ মোঃ আব্দুল ওয়াহাবগণ বিশেষ পুরষ্কারে পুরষ্কৃত হন।
নভেম্বর মাসে শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর সার্কেল এর সহকারি পুলিশ সুপার জনাব মিথুন সরকার, শ্রেষ্ঠ সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নীলফামারী সদর থানার এসআই পলাশ কান্তি রায়, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে পঞ্চগড় সদর থানার এসআই মোঃ শামীম মন্ডল, শ্রেষ্ঠ মাদক ও চোরাচালান মালামাল উদ্ধারকারী কর্মকর্তা হিসেবে লালমনিরহাট সদর থানার এসআই মোঃ নুর আলম সরকার, শ্রেষ্ঠ এএসআই হিসেবে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার এএসআই মোঃ মাহফুজার রহমান, শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইউনিট হিসেবে ঠাকুরগাঁও ট্রাফিক ইউনিটের টিআই মোঃ আবু রায়হান সিদ্দিক, শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান এবং শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে পঞ্চগড় জেলার পুলিশ সুপার, মোঃ ইউসুফ আলী পুরষ্কার গ্রহণ করেন। এছাড়াও ক্লুলেস খুন মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই মোঃ নুরুন নবী, খুনসহ শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতারের জন্য দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা বিশেষ পুরষ্কারে পুরষ্কৃত হন।