নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার আটুয়া গ্রামে জন্ম নেয়া জোড়া লাগানো জমজ মেয়ে শিশু দুটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশু দুটিকে মায়ের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. রাসেল হোসেন জানান, শিশু দুটির জীবন সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে দেশেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের আলাদা করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর আটুয়া গ্রামের আদরী বেগম (৩২) নামের এক গৃহবধু এ বাচ্চা দুটি জন্ম দিয়েছেন। শিশু দুটির দেহ পেছনের দিক থেকে কোমড়ের কাছে পরস্পর জোড়া লাগানো। বাবা-মা তাদের নামের রেখেছেন আছিয়া খাতুন ও আসমা খাতুন। তাদের পিতা তাজেল হোসেন ঢাকায় রিকশা চালান আর মা গৃহিণী। তাদের চিকিৎসার জন্য বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন তাদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এ ছাড়া স্থানীয় লোকজন ও উপজেলা প্রশাসনের আর্থিক সহায়তায় তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে গৃহিনী আদুরী বেগম মোবাইলে জানান, অনেক দিন অপেক্ষার পর আল্লাহ সন্তান দিয়েছেন। কিন্তু তাদের নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। তাদের অপারেশন করে আলাদা করার সামর্থ্য আমাদের নেই। শিশু দুটির পিতা তাজেল হোসেন জানান, রিক্সা চালিয়ে যা পাই তাই দিয়ে সংসার খরচ চলে। আত্মীয়স্বজন ও জনপ্রতিনিধিরা যেটুকু সহযোগিতা করেছিলেন তা শেষ হয়ে গেছে। মেয়েদের অপারেশনের খরচ মেটানোর সাধ্য নেই আমার। এর আগেও টিভিতে এমন জোড়া শিশুর অপারেশনের খবর দেখেছি, প্রধানমন্ত্রী তাদের সহায়তা দিয়েছেন। আমরাও প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য চাই।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর দুলাল হোসেন জানান, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও আত্মীয়-স্বজনরা তাদেরকে কিছু টাকা দিয়ে সহায়তা করেছেন। তবে ঢাকায় চিকিৎসার ব্যায় মেটাতে সেটা শেষ হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থায় তাদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে পরিবারের লোকজন চরম হিমশিম খাচ্ছে।