‘বিচার বিলম্বিত হলে অনেক ক্ষেত্রেই ন্যায় বিচার বিঘ্নিত হয়। বিচার প্রক্রিয়া যাতে নির্বিঘœ হয় এর জন্য আইনপ্রয়োগকারি সংস্থা, আইনজীবী, ডাক্তারসহ সংশি¬ষ্ট সকল বিভাগকে আন্তরিক হয়ে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত করতে হবে। একই সাথে দেশে বিরাজমান মামলা জট নিরসনে বিচারকদের আরো বেশী যত্নবান হতে হবে।’ শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে ‘পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইন।
গত মাসে ৩৭টি মামলার রায় প্রদান করা হয়েছে উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তালুকদার বলেন, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের পারস্পরিক সহযোগিতার কারণেই এসব রায় প্রদান সম্ভব হয়েছে। বিচার নিশ্চিত করতে বিচারক, আইনজীবী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক অপরিহার্য। তাই আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সর্বস্তরের মানুষের জন্য ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থায় পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, ডাক্তার, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আর ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাদের সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইন বলেন, ‘মামলার জট বিচার বিভাগের বড় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আকবর আলী শেখ, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল অধিকারী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইফতে খায়ের আলমসহ রাজশাহীর বিভিন্ন আদালতের বিচারক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরের প্রধান এবং প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।