রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সীমান্তের হরিরামপুর এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু সীমান্তে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে বিএসএফের পক্ষ থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আলাইপুর বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ আবু তালেব জানান, এরাজুল ইসলাম ও সুমন আলী নামের ২ শ্রমিক বাঘা উপজেলার হরিরামপুর পদ্মা নদীর ২ নম্বর কলোনীর চরে শনিবার সকাল ১১টার দিকে কাশবন (খড়) কাটতে যায়। এ সময় ভারতীয় বিএসএফ তাদের ধরে নিয়ে যায়। কিন্তু বিএসএফ বিষয়টি গোপন রাখে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানতে পারে বিজিবি’র আলাইপুর ক্যাম্প। এ বিষয়ে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ বিজিবি পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী বিজিবি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিএসএফের প্রতিনিধি দলের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু তারা এ বৈঠকে আসেনি। ফলে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।
আটক এরাজুল ইসলামের ছেলে রাসিদুল ইসলাম জানান, আমার বাবা সহ ৭/৮ জনের একটি দল উপজেলার সীমান্তের হরিরামপুর পদ্মা নদীর ২ নম্বর কলোনীর চরে কাশবন (খড়) কাটতে যায়। সেখান থেকে বাবাকে সহ আরেকজনকে আটক করে নিয়ে যায় ভারতীয় বিএসএফ। অন্যারা পালিয়ে এসেছেন।
উল্লেখ্য, বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ ভানুকর গ্রাামের তছির উদ্দিনের ছেলে এরাজুল ইসলাম ও মৃত মিনু মন্ডলের ছেলে সুমন আলীকে শনিবার দুপুরে ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলংগী থানার দয়ারামপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ধরে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই বিজিবি বারবার পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে আসছে বিএসএফকে। কিন্তু তারা কোন সাড়া দেয়নি।