শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ৫ম শ্রেনীর এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
শিশুটিকে সোমবার সকালে নালিতাবাড়ী হাসপাতাল থেকে শেরপুর সদর হাসপাতাল ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে উন্নত চিকিৎসার ও মেডিক্যাল পরিক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় লম্পট ধর্ষক হাবিবুল্লাহ (৩০) বাড়ী থেকে পালিয়েছে। ধর্ষক হাবিবুল্লাহ ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।
পুলিশ, হাসপাতাল, পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের {দিলীপ পালের কন্যাশিশু ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী দিপা রানী পাল (১১) (নাম পিতা ব্যবহার না করাই শ্রেয়} বাঘবেড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গতকাল রোববার দুপুর দেড়টায় সমাপনি পরিক্ষা শেষ করে কন্যা শিশুটি বাড়ী ফিরার সময় একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক হাবিবুল্লাহ অটো রিকশায় উঠে। লম্পট হাবিবুল্লাহ শিশুটিকে বাড়ী না নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে নিয়ে মধুটিলা ইকোপার্কে চলে যায় এবং সেখানে মধুটিলা ইকো পার্কের নির্জন জঙ্গলে শিশুটিকে ধর্ষন করে অটোরিকশা চালক হাবিবুল্লাহ। পরে সন্ধার দিকে শিশুটিকে অটোরিকশা চালক হাবিবুল্লাহ নিজেই শিশুটিকে বাড়ীতে দিয়ে যায়। রাতেই শিশুটি মা বাবাকে ঘটনাটি জানায়। পর দিন সোমবার সকালে শিশুটিকে তার পিতা মাতা ও এলাকাবাসী নালিতাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় লম্পট ধর্ষক হাবিবুল্লাহ বাড়ী থেকে পালিয়েছে। ধর্ষক হাবিবুল্লাহ ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।
এব্যাপারে নালিতাবাড়ী সদর হাসপাতালের ডাঃ হানিফ বলেন, আজ সকালে শিশুটিকে তার মা বাবা ও এলাকাবাসী নালিতাবাড়ী হাসপাতালে আনে। পরে শিশুটিকে নালিতাবাড়ী হাসপাতাল থেকে শেরপুর সদর হাসপাতাল ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে উন্নত চিকিৎসা ও মেডিক্যাল পরিক্ষার জন্য প্রেরন করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বসির আহমেদ বাদল বলেন, আজ সকালে আমরা ঘটনাটি জানতে পেরেছি। মেয়েটিকে উন্নত চিকিৎসা ও মেডিক্যাল পরিক্ষার জন্য শেরপুর প্রেরন করা হয়েছে। লম্পট ধর্ষক হাবিবুল্লাহ বাড়ী থেকে পালিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।