নওগাঁ জেলার সর্বত্র চলছে জমজমাট সুদের মহাজনি ব্যাবসা তাতে জিম্মি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। প্রতিটি গ্রামে পাড়া মহল্লার মোড়ে মোড়ে সমাজ সেবা, মাল্টিপারপাস্, ঋণদান সংস্থা নাম ধারী প্রতিষ্ঠানের অন্তরালে ও চলছে রমরমা চড়া সুদের অমানবিক দাদন ব্যাবসা। ব্যাক্তি পর্যায়ের কিছু সুদখোড় রয়েছেন সপ্তাহিক প্রতি হাজারে ১শত টাকা সুদে অর্থাৎ প্রতি হাজারে ৪ সপ্তাহে ৪ শত টাকার চুক্তিতে ঋণ বিতরণ করছেন। এই সমস্ত সুদ খোর দের বিভিন্ন পয়েন্টে গ্রাহক যোগানের জন্য দালাল রয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানাগেছে।
এই সকল অনৈতিক কারবার গুলো লোক সমাজের অণÍরালে হয়। লোক সমাজের নজরে আসে ঠিক তখনি যখন দাদন দাতা দের সাথে গ্রাহকদের দন্দ তৈরি হয়। সাপাহারে অহরহ এমন ঘটনা ঘটছে। কতিপয় সুদখোর তাদের পোষা মাস্তানদের দিয়ে ভুক্তভোগীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে সুদের টাকা আদায়ে প্রকাশ্য মহড়া দেয়ার মত ঘটনাও এখানে ঘটেছে। এদের রোষানলে পড়ে অনেক গরিব খেটে খাওয়া মানুষ আজ নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছে। অনেকে সুদখোরদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে পরিবার পরিজন নিয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। সম্প্রতি সময়ে অমানবিক এ দাদন ব্যাবসা বন্ধের দাবিতে নওগাঁ সদর ও মহাদেবপুর উপজেলা সদরে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অমানবিক এ দাদন ব্যাবসার বিষয়ে সাপাহার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই নিউটন বলেন, মাদকের মতই ভয়াবহ আকার ধারন করেছে এ দাদন ব্যাবসা। দিন দিন অসাধু দাদন ব্যাবসায়ীদের দৌড়াত্ব বেড়েই চলেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ব আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে তাদের কাছ থেকে ঋণ দেবার সময় ফাঁকা ষ্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক নিচ্ছে। ঋণ গ্রস্থরা সময় মত টাকা দিতে না পারায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে চেক ডিজনার সার্টেফিকেট নিয়ে ইচ্ছামত টাকা দাবী করে এন আই এ্যাক্ট মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার দাবীকৃত টাকা পরিশোধ দিতে না পারায় ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে চেকের (এন আই এ্যাক্ট) মামলায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করা হয়।
উপজেলা সদর ,গ্রাম,পাড়া,মহল্লার অলি গলিতে ব্যাক্তি পর্যায়ে প্রতি হাজারে এক থেকে চার শত টাকা সুদে ঋণ দান করা হয়। দাদন দাতা ও গ্রাহকের মধ্যে দন্দ দেখলে আমরা দুরে সরে যাই এটা বলে যে লেনদেনের ব্যাপারে না জড়ানোই ভালো। আর এ সুযোগে সুদখোরদের সিন্ডিকেট আরো বেপড়োয়া ও সক্রিয় হয়ে উঠছে। অনেকে তাদের ভয়ভিতি ও মানষিক নির্যাতনে ভারসাম্য হারিয়ে আত্মহত্যারার মত পথ বেছে নিচ্ছেন। এসব ঘটনার নজির রয়েছে শুধু নওগাঁ জেলাতেই নয় পুর দেশ জুরে। সাপাহার উপজেলার অনেক মানুষ হঠাৎ করেই রাতের আঁধারে সহ-পরিবার নিয়ে উধাও। পরে জানা যায় সুদখোরদের চাপে পড়ে বাপ দাদার ভিটা মাটি ছেরে পালিয়েছে। (ওসি) আরো বলেন, এদেশে যেমন আইন রয়েছে তার প্রয়োগও রয়েছে। অসাধু সুদখোরদের বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছে নওগাঁ জেলা পুলিশ প্রসাশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার মহদয় প্রকৌশলী মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া (বিপি এম) স্যার। প্রতি হাজারে ১ থেকে ৪ শত টাকা সুদে নেয়াদেয়া করর এই সুদখোর ব্যাক্তিদেরকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ঠ থানা পুলিশকে অবহিত করুন। অসাধু দাদন ব্যাবসায়ী দেরকে ফাঁকা চেক ও ষ্ট্যাম্প দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এ বিষয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই নিউটন সাপাহার উপজেলার সর্বস্তরের জন সাধারণের সহযোগীতা চেয়েছেন।