বগুড়ার ধুনটে আবদুস সবুর (৩৬) নামে এক যুবলীগ কর্মী ও পল্লী চিকিৎসককে প্রকাশ্য দিনে দুপুরে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা হত্যা করেছে কামরুল ইসলাম নামে মাদক ব্যবসায়ী বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা ও তার লোকজন সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন।
জমিজমা বিরোধের জের ধরে মোবাইলফোনে ডেকে নিয়ে করেছে। মর্মান্তিক ঘটনাটে ঘটেছে বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া এলাকায়। ধারনা করা হচ্ছে জমা জমির বিরোধ নিয়ে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে।
নিহত আবদুস সবুর ধুনট উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও নান্দিয়াপাড়া এলাকার রহিম বকসের ছেলে।
স্থানীয়সূত্রে জানাগেছে, যুবলীগ কর্মী ও পল্লী চিকিৎসক আবদুস সবুরের সাথে জমিজমা নিয়ে উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের নান্দিয়ারপাড়া এলাকার জনাব আলীর ছেলে নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সাধারন সম্পাদক কামরুল ইমলামের বিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার দুপুরে কামরুল ইসলাম বিরোধ আপোষের কথা বলে মোবাইলফোনে পল্লী চিকিৎসক আবদুস সবুরকে ডেকে নিয়ে পশ্চিম নান্দিয়ারপাড়া এলাকার একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে যায়। পরে সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম (৩৮), একই গ্রামের সামস্ উদ্দিনের ছেলে সবুজ মিয়া (৩৪), শফিকুল ইসলামের ছেলে সাগর মিয়া (১৮) ও সুরুজ মিয়ার ছেলে বিপুল হোসেন (২৮) সহ আরো ৪/৫জন সশস্ত্র যুবক অতর্কিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে পল্লী চিকিৎসক আবদুস সবুরকে হত্যা নিশ্চিত তার লাশ ফেলে রেখে যায়।
পরে স্থানীয়রা থানায় খরব দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান জানান, প্রায় ১০ মাস আগে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় নিমগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদকের পদ থেকে কামরুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবে উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পল্লী চিকিৎসক আবদুস সবুরকে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক) ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।