নবান্ন শস্যভিত্তিক একটি লোকউৎসব। প্রধান শস্য সংগ্রহকে কেন্দ্র করে এ উৎসব পালিত হয়ে থাকে। নতুন ধান ঘরে তোলার সময় বাংলার কৃষকরা মেতে ওঠেন এই উৎসবে। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবান্ন পালন ও নতুন ফসল ঘরে তোলেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চৈতন্যপুর গ্রামে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে কৃষকের ধানকাটা ও নবান্ন উৎসব। উৎসবকে ঘিরে কৃষকের ধানকাটা, প্রশ্নোত্তর পর্ব, আদিবাসীদের নাচ ইত্যাদির আয়োজন করেন ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষিপদকপ্রাপ্ত কৃষক মনির হোসেন।
ধান কেটে এ নবান্ন উৎসবের উদ্বোধন করেন, রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক, গোদাগাড়ী কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।
ধানকাটা প্রতিযোগিতায় নারী ও পুরুষদের পৃথক তিনটি করে মোট ছয়টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলে ৫জন করে মোট ৩০ জন নারী পুরুষ ধানকাটায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্য থেকে বিজয়ী নারী ও পুরুষ দলের প্রত্যেক সদস্যকে লুঙ্গী ও শাড়ী প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে আদিবাসীরা পরিবেশন করেন ‘করম’ নাচ। এছাড়াও কৃষি সম্পর্কিত প্রশ্নের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় কৃষকের প্রশ্নোত্তর পর্ব। উৎসবের শুরুতেই পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত।
অনুষ্ঠানের আয়োজক মনির হোসেন বলেন, তৃণমূল কৃষকদেরকে অনুপ্রাণিত করতে এবং একটু আনন্দ দিতেই এই ধানকাটা ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন। প্রশ্নোত্তর পর্বে কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। এ পর্ব থেকে কৃষকরা কৃষির বিভিন্ন প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে জানতে পারবেন।