কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহমত আলী(৫০)কে পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান রুস্তমের ছেলেরা লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। তার অবস্থার অবনতি হলে পরে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দুপুরে কটিয়াদী-চালাকচর সড়কের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের উপর ব্রীজের পূর্বপাড়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন নোয়াকান্দি নামক স্থানে।
আহত ইউপি সদস্য রহমত আলীর ভগ্নিপতি আবদুল কাদির জানান, মনোহরদী উপজেলার মাস্টারবাড়ি থেকে কটিয়াদী আসার পথে ব্রীজের নিকট চেয়ারম্যানের ছেলেরা তার পথরোধ করে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার কারণ জানতে চায়। একপর্যায়ে লোহার রড দিয়ে সদস্য রহমত আলীকে বেধরক মারপিট করে মারাত্মক ভাবে জখম করে। তার কপালে, হাতে ও পায়ে মারাত্মক জখম হয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে ফুলা জখম করে। তাকে উদ্ধার করে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান রুস্তমের বিরুদ্ধে ১২জন সদস্য গত ৩/৯/২০১৮ তারিখে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগটি যথাযথ তদন্ত হয়। ১৩ জনের মধ্যে ১০ জন সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় ২৬ আগস্ট ২০১৯ অনাস্থাটি গ্রহন করে এবং চেয়ারম্যান পদটি শূণ্য ঘোষণা করেন। চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান রুস্তম ৩/৯/২০১৯ তারিখে ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট ৩ মাসের জন্য ওই আদেশটি স্থগিত করে চেয়ারম্যান পদে পুনঃবহাল করে।
প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া বলেন, তার পদ শূণ্য হওয়ার পর থেকে আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমরা ১৬/৯/২০১৯ তারিখে সুপ্রীম কোর্টে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করি। গত ২১/৯/২০১৯ তারিখে একটি শোনানি হয় এবং আগামী ৮/১২/২০১৯ তারিখেও ফুল বেঞ্চে মামলাটি শোনানি করা হবে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান রুস্তম বলেন, আমার বিরুদ্ধে সদস্যরা অন্যায়ভাবে অনাস্থা দেয়। হাইকোর্ট থেকে পুনঃবহাল হওয়ার পরেও তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে। বিষয়টি সম্পর্কে আমার বাড়ির কাছে এসে সদস্য রহমত আলী অপ্রাসঙ্গিক কিছু বললে আমার ছেলে রাজি ও তারেক তার প্রতিবাদ করে। এতে হাতাহাতির ঘটনা হয়েছে বলে শোনেছি। তখন আমি এলাকার বাইরে ছিলাম। এ ব্যাপারে কটিয়াদী থানার ওসি এম.এ জলিল বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ অফিসারকে পাঠাই। জখমী সদস্য অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।