রাজশাহীর মোহনপুরে এক প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আবদুল আজিজ নামের এক ব্যক্তি তার পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
সোমবার সরজমিনে মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের তশোপাড়া গ্রামে গিয়ে স্থানীয় মানুষ ও ভোক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, জীবিকা নির্ভরের তাগিদে প্রায় ১৩ বছর পূর্বে স্ত্রী ও ৪ সন্তান নিয়ে পাবনা জেলা থেকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা তশোপাড়া গ্রামে আসেন আবদুল আজিজ। গভীর নলকুপের যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতে গিয়ে তশোপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাশেমের ছেলে আবদুল কাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠে আবদুল আজিজের। একপর্যায়ে আবদুল আজিজ বাড়ি করার জন্য আবদুল কাদের কাছ থেকে সাড়ে ৫ শতকের একটি ডোবা জমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ করে ডোবাটি ভরাটের পর আবদুল আজিজ টিনসেডের বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। আবদুল কাদের জমিটি রেজিষ্ট্র না দিয়ে দিনের পর দিন আজিজকে বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা করতে আসছেন। একপর্যায়ে কাদের জমির টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং তার ভাড়া করা লোক দিয়ে আজিজের বাড়ী উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন হুমকি ও অত্যাচার-শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। গত ১৫/০৪/২০১৯ইং তারিখে রাজশাহী কোর্টে আবদুল কাদের বাদী হয়ে আজিজকে জমি জবর দখলের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে পাবনা হতে আসা অসহায় আজিজ স্ত্রী সন্তান নিয়ে প্রচন্ড মানবেতর জীবন-যাপন করছে। প্রতারণার শিকার আবদুল আজিজ বলেন, পাবনা থেকে তশোপাড়া গ্রামে আসার পর আবদুল কাদেরের সাথে তার পরিচয় হয়। সম্পর্কের ভিত্তিতে বিশ্বাস করে আমি ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কাদেরের কাছ থেকে ডোবো জমি ক্রয় করি। জায়গাটি ভরাট করে অনেক কষ্ট করে থাকার মত টিন দিয়ে টিনশেডের বাড়ি করি। কিন্তু পরবর্তি জমি রেজিষ্ট না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি জমিটি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। তিনি আরো জানান, আশপাশের জমির মালিকেরা আমার বাড়ির চেয়ে উঁঁচু করে ভরাট করায় সমান্য বৃষ্টি হলে আমার বাড়ির ভিতর হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ওই জমি নিয়ে কয়েকদিন আগে আবদুল কাদের লোকজন আবদুল আজিজের স্ত্রীকে মারপিট করে। থানায় অভিযোগ করলে উভয়পক্ষকে নিয়ে মিমাংসার জন্য বসলে আবদুল কাদের বিচার অমান্য করে চলে যান। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদুল কাদের বলেন, জমি বিক্রি করার কথা বলে আজিজের নিকট থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়নি। সে আমার জমি জোরপূর্বক দখল করে বসবাস করছেন বলে আমি কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, যেহতু সমস্যা জমি নিয়ে। জমির বিষয়ে আদালতে মামলা থাকার জন্য বিষয়টি মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।