চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের জামিন বাতিল এবং উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি গোলাম মুক্তাদীর রাজেস ও আ.লীগ কর্মী সালাউদ্দিন স¤্রাটের জামিন আবেদন না মুঞ্জুর হয়েছে। নাচোল উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার দায়ের করা জিআর-১৩৩/১৯ নং মামলায় জামিনে থাকা এজাহারভুক্ত ১নং আসামি ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না থাকায় তার জামিন বাতিলের আদেশ প্রদান করেছেন নাচোল আমলী আদালতের হাকি আবু কাহার। এদিন জিআর-১৩৩/১৯ নং মামলায় দাখিলকৃত চার্জশীটের উপর শুনানীর জন্য তারিখ ধার্য ছিল। এ মামলায় কারাগারে থাকা অপর দুই আসামি নাচোল উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি গোলাম মুক্তাদীর রাজেস ও আ.লীগ কর্মী সালাউদ্দিন স¤্রাটের পক্ষে জামিন আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব জুয়েল। কিন্তু আইনজীবীর উপস্থাপন করা জামিনের আবেদনটি উপর দীর্ঘ যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে আদালতে তা না মুঞ্জুর হয়। সেইসাথে পলাতক আসামি ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু এবং এজাহারভুক্ত পলাতক আরেক আসামি নাচোল স্টেশন হাতাডাউনপাড়ার আমির মেকারের ছেলে মিঠুনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। প্রসঙ্গত, এ বছর ১৪ জুন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রাজশাহীতে আকস্মিক এক সফরে আসেন এবং এদিন সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুজ্জামান, রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নাজমুল হক ভুইয়া, নাচোল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, নাচোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক, নাচোল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মেদ, নাচোল খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউর রহমান, উপ-খাদ্য পরিদর্শক মাসুদ রানা ও ভাইস চেয়ারম্য্যন রেজাউল করিম বাবুসহ খাদ্যগুদামের শ্রমিকগণ। খাদ্যগুদাম পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী মহোদয় ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পরপরই নাচোল উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিহা সুলতানা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সহকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক, এবং নাচোল খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই উপ-খাদ্য পরিদর্শক মাসুদ রানা এবং খাদ্যগুদামের শ্রমিক সর্দার মজিবুর রহমানকে অফিস থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে বেধড়ক মারধর করে সাড়ে ৪ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু ও তার সহযোগী মিঠনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় খাদ্যগুদামের ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিউর রহমান বাদী হয়ে নাচোল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিমকে ১নং আসামি এবং তার সহযোগী উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি রাজেস খান, সম্রাট, মিঠনসহ আরও ৫/৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ১৫ জুন নাচোল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ১৭ জুন সন্ধ্যায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের হাতে আটক হয় মামলার ১নং আসামি নাচোল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাবু।