ঢাকার মোহাম্মাদপুরে গৃহকর্তাদের শারীরিক নির্যাতনে গৃহকর্মী জান্নাতী আক্তার (১২) হত্যার বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার বগুড়া গাবতলীর তেলীহাটা গ্রামবাসীর উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
নিহত জান্নাতীর বাবা ও মা জানায়, পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সাঈদ আহম্মেদ এর ঢাকাস্থ মোহাম্মাদপুর এ/পি-৬/৫-এ স্যার সৈয়দ রোডের এ-১ ফ্ল্যাটের ২য় তলায় বগুড়া গাবতলীর সোনারায় ইউনিয়নের তেলীহাটা গ্রামের জানু মোল্লার ১২ বছরের মেয়ে জান্নাতী ৪বছর আগে থেকে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল। এমতবস্থায় গত ২২অক্টোবর প্রকৌশলী সাঈদ আহম্মেদ ও তার স্ত্রী রুকসানা পারভীন দম্পতি ওই গৃহকর্মী জান্নাতীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য জান্নাতীকে ওই রাতেই শেরে বাংলা নগরস্থ শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতীকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত জান্নাতীর কপালের মাঝখানে, মাথায়, নাকের উপর, গলার ডান পাশে, দুই হাতের বাহুতে, উভয় পায়ের উরুতে, তলটেপে আঘাতের চিহৃ ও ক্ষত রয়েছে। এ ঘটনায় গত ২৪অক্টোবর নিহত জান্নাতীর বাবা জানু মোল্লা বাদী হয়ে রুকসানা পারভীন ও প্রকৌশলী সাঈদ আহম্মেদকে অভিযুক্ত করে মোহাম্মাদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত প্রকৌশলী সাঈদ আহম্মেদ জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ থানার আইরমারী সরকার পাড়া গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে। নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে গতকাল বাবা, মা ও তেলীহাটা গ্রামবাসী উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। নিহত জান্নাতীর মা সামছুন্নাহার সন্তান হারানোর বেদনায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সেইসাথে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য ইউএনও’র কাছে স্বারকলিপি প্রদান করে।