শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃতীয় শ্রেণি পড়-য়া এক শিক্ষার্থী (৮) ধর্ষণের শিকার হলে ওই দিন রাতেই প্রদান আসামি আজিজুল হক সহ ৫জনের বিরুদ্ধে মেয়ের বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। পুলিশ শনিবার ৪ জনকে আটক করে। এদিকে পলাতক থাকা প্রধান আসামি আজিজুল ধর্ষক কে পুলিশ ২দিনের মধ্যেই রোববার ঢাকার টঙ্গী থেকে আটক করে আদালতে প্রেরন করে। আদালতে আজিজুল হক ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
উল্লেখ্য পুলিশ সূত্রে, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী পাশের গ্রামের মামার বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার বেড়াতে যায়। গত শুক্রবার পড়ন্ত বিকেলে মেয়েটি একা নিজের বাড়িতে আসছিলো। এ সময় ওই গ্রামের বাসিন্দা মো.আলমের ছেলে আজিজুল হক (১৯) শিশুটির পথ রোধ করেন। পরে মেয়েটিকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর মেয়েটি কাদঁতে থাকে। এ সময় আজিজুল মেয়েটির বাড়িতে কাউকে ধর্ষণের ব্যাপারে জানাতে নিষেধ করেন। মেয়েটি বাড়ি গিয়ে তার মা কে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। এ সময় মেয়েটির প্রচন্ড রক্তপাত হচ্ছিলো। দ্রুত মেয়ের পরিবার রাতেই চিকিৎসার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে মেয়েকে ভর্তি করান। শুক্রবার নালিতাবাড়ী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে আজিজুলসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ধর্ষণের পর থেকে আজিজুল বাড়ি থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন, মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের পর আজিজুল এলাকা থেকে পালিয়েছিল। রোববার তাকে ঢাকার টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে আজিজুল হক ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।