বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল, শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সাংগঠনিক পর্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে গৃদা নারায়নপুরে সংগঠনের আহ্বায়ক মো. আবদুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. মাজহারুল আলম।
সভায় বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফজলুল হক লাভলু, জেলা বিএনপির সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম, সদর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের মো. মানিক মিয়া, মো. জমশেদ আলী, মো. সুলতান মিয়া, মো. নজরুল ইসলাম, মো. আজাদ আলী, মো. মিল্টন প্রমুখ। এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরহাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্রামুজ্জামান রাহাত, আবু রায়হান রূপম, দপ্তর সম্পাদক সেলিম শাহী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আহমেদ ময়নাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. কামরুল হাসান।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য ও শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, আমরা এখন সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। তারচেয়েও বেশি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে আমাদের প্রিয় দেশ বাংলাদেশ। দেশের আইন শৃংখলা, প্রশাসন, অর্থনীতিসহ প্রতিটি সেক্টরে অস্থিরতা ও বিশৃংখল অবস্থা বিরাজ করছে। মানুষ তাঁর ভোটের অধিকার হারিয়েছে। ভোটার বিহীন মধ্যরাতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গঠিত অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিচারহীনতায় দেশে আজ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত আওয়ামী লীগের চেহারা আজ জনগনের সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার দেশ পরিচালনায় নৈতিকভাবে তার যোগ্যতা হারিয়েছে। এ অবস্থায় তৃণমূল পর্যায় থেকে আমাদের সকল সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তাই তৃণমূল থেকে যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি ও সংগঠনকে শক্তিশালী করার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া ও দেশের সকল মানুষের মুক্তি এবং আগামি দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনকে বেগবান করতে সবাইকে প্রস্তুত হতে হবে।
বিশেষ অতিথি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম বলেন, শেখ মুজিব গণতন্ত্র হত্যার রাজনীতি শুরু করেছিল আর তার কন্যা শেখ হাসিনা সর্বশেষ গণতন্ত্রকে হত্যা করলো ২০১৮ সালে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে। দেশে এখন আওয়ামী লীগ নেই, নেতারা আওয়ামী লীগ নামের কফিন ঘাড়ে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানিয়ে রাখতেই বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, হত্যা, মামলা, হামলাসহ নানাবিধ দলন পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।