ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন ১০নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন খান। তিনি বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে তিনি সততা ও যোগ্যতার দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আয়ূব হোসেন খানের রাজনৈতিক জীবনের পথচলা শুরু হয়।
এরপর ১৯৮৮ সালে কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ন-আহবায়ক, ১৯৮৯ সালে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক, ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯৭ সালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, ১৯৯৭ সাল আবার দ্বিতীয় মেযাদে ২০০৩ সাল পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, এবং ২০০৪ সালে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-আহবায়কের দায়িত্ব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ন-সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন। ১৯৮৫ সালে উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিদ্যানিকেতন প্রতিষ্ঠার সময় তিনি এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাথে থেকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। বিগত ১৪ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিদ্যানিকেন সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলার ১০ নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান তিনি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ওই ইউনিয়নে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের সার্বিক সহযোগীতায় যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন।
তিনি জানান, ছাত্র অবস্থা থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। দল যখন ক্ষমতায় ছিলো না তখনও রাজপথে ছিলাম এখনো আছি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পরে বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী জ¦ালা-পোড়াও করলেও ১০নং কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নসহ বারোবাজার এলাকায় আ.লীগের শক্ত নেতৃত্বের কারণে কোন আন্দোলন করতে পারেনি। রাজপথে থেকে দৃঢ় ভাবে এলাকার আ.লীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে সাথে নিয়ে আমি তাদের বিধ্বংসী কর্মকা- মোকাবেলা করেছি। আমাদের অভিভাবক বর্তমান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের নির্দেশে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অতীতের ন্যায় এখনো পর্যন্ত দলীয় সকল কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের চেষ্ঠা করছি। ছাত্রলীগ, যুবলীগের পর আওয়ামী লীগের দলীয় দায়িত্ব পালন করছি দীর্ঘদিন। জীবনে কোন দিন নৌকা মার্কার সাথে বে-ঈমানি করেনি। দল যখন যাকে নমিনেশন দিয়েছে তখন তার সাথে থেকে নির্বাচনে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কাজ করে গেছেন। ২০০১ সালে জামাত-বিএনপির সরকারের আমলে নির্যাতিত আওয়ামী লীগের জীবনের ভয়ে যশোরে পালিয়ে থাকা নেতা-কর্মিদের সার্বিক সহযোগীতা করেন। এবং ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই সাহেবকে নিয়ে যশোরে সাংবাদিক সম্মেলনের করেন।
তাই আমি তৃর্ণমূলের বঞ্চিত নেতা কর্মিদের সাথে নিয়ে দলকে বৃহৎ পরিসরে সেবা দেওয়ার জন্য এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন টুয়েন্টি টুয়েন্টি ওয়ান স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। আশা করি দল ও কাউন্সিলররা আমার অতীত কর্মকা- মূল্যায়ন করে আমাকে নির্বাচিত করবেন। তার বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মুল্যায়ন করার ঘোষণা দিয়েছেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেন খানকে যদি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় তাহলে কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি আরও সুসংগঠিত হবে এবং সুনাম ও ঐতিহ্য বৃদ্ধি পাবে।