কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে গত ৮ দিনে তিনটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে খুনিরা পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগায় দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে করগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বাট্রা গ্রামে চাচাত ভাই গরু চোর মো: আল-আমিন সহ ৮-১০ জন এর হাতে হাবিবুর রহমান হবি (৩৫) নামের এক কৃষক খুন হয়েছেন। চাচাত ভাই গরু চোর মো: আল-আমিন কে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করার কারণে হাবিবুর রহমানের ঘরের পিছনের দিকে মাটির সিধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে হাবিবুর রহমান হবি কে রামদা গিয়ে কুপালে ঘটনার স্থলে তার মৃত্যু ঘটে। এ সময় ফিরাতে গিয়ে চারজন আহত হয়। আহতরা হলেন, নিহত হাবিবুর রহমান হবি স্ত্রী পাচঁ মাসের অন্তস্বত্বা শারমীন আক্তার (৩৫), তুফাচাঁন মিয়া (২৫), জুনায়েদ মিয়া (৫৫) গুরুতর আহত হন। এদের মধ্যে শারমীন আক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও তুফাচাঁন মিয়াকে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এলাকার কুখ্যাত গরু চোর আল-আমিন, তারা মিয়া, সাগর মিয়া সহ কয়েকজন সংগ্রবদ্ধ গরু চোর এলাকায় গরু চুরি করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত হাবিবুর রহমান হবির লাশ ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এদিকে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ বাট্রা গ্রামে মো: রিকন মিয়ার ছেলে পিয়াল মিয়া ঢাকায় জুতার কারখানার, আল-আমিন, বাবু মিয়া ও তার সংগবদ্ধের হাতে খুন হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ঢাকা বংশাল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটে ২১ অক্টোবর দিবাগত ভোর রাতে। নিহত পিয়ালের বড় পিয়াস জানান, ঘটনার দিন তার ভাই কারখানায় দুই কেজি দুধ নিয়ে যায়। তখন ঐদিন দিবাগত রাতে আল-আমিন ও তার লোকজন পরিকল্পিত ভাবে পিয়ালকে খুন করেছে বলে তারা দাবি করেন। বুধবার লাশ ময়না তদন্তের শেষে পারিবারিক ভাবে কবর দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে গত ১৫ই অক্টোবর মাহমুদপুর গ্রামে চার সন্তানের জননী হারেছা বেগম (৪০) কে একই গ্রামের কাজল মিয়া খুন করেছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। এইসব ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জানা গেছে। কটিয়াদী থানার ওসি আবু সামা মো: ইকবাল হায়াত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।