তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তানোর উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্্েরর ক্যামপাসে অবস্থান করেন না। ফলে অবহেলা অযতœ ও নোংড়া পরিবেশের মধ্যে দিয়েই চলছে চিকিৎসা সেবা। সেই সাথে রোগিদের ব্যবহৃত বেডসিট গুলো নিয়ম অনুযায়ী পরিস্কার করানো হয়না। রোগীর ব্যবহৃত বেডসিট একবার ব্যবহার করার পর ধোলাই না হওয়া পর্যন্ত ওই বেডটিস আর কোন রোগীর ব্যবহার করার নিয়ম নেই। কিন্তু তানোর মেডিকেলে তা মানা হয়না। ধোলাই না করেই অপরিস্কার বেডসিটই রোগীকে ব্যবহার করতে হচ্ছে। রোগীর জন্য মোশারীর বরাদ্ধ থাকলেও তা রোগীদের মাঝে সরবরাহ করা হয়ন। খাবারের মান নিয়েও এলাকাবাসীসহ রোগীদের মাঝে রয়েছে নানা প্রশ্ন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের টয়লেট গুলো ব্যবহারের অনুপুযোগী হয়ে থাকলেও পরিস্কার করানো হয়নি দীর্ঘদিন। ফলে রোগীদেরকে নাকে কাপড় দিয়ে কোন রকমে প্রকৃতির কাজ সারতে হচ্ছে। মেডিকেলের যেখানে সেখানে পড়ে থাকে ময়লা আবড়জনা যেন দেখার যেন কেউ নেই। প্রঙ্গাপনে বলা হয়েছে, টিএইচও এবং আরএমও মেডিকেল ক্যাম্পাসের কোয়াটারে অবস্থান বাধ্যতামুলখ। কিন্তু তা মানছেন না এই ২ কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং তানোর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তানোরে যোগদান করার পর থেকে কোনদিনও মেডিকেল ক্যাম্পাসের কোয়াটারে অবস্থান করেননি এখনো করেন না। তানোর মেডিকেলের প্রান এই ২ কর্মকর্তা মেডিকেল ক্যাম্পাসে অবস্থান না করা এবং উদাসিনতাসহ অবহেলায় অন্য কর্মচারীরা যে যারমত তাদের দায়িত্ব পালন করেছন। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ’র মেডিকেলে মাঝে মাঝে মেডিকেলে এসে অফিসিয়াল কিছু কাজকর্ম সেরেই আবার চলে যান বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে শুক্রবার আসারতো প্রশ্নই উঠেনো। অপর দিকে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সিফ্ট ডিউটি করেই চলে যান নিজ গন্তবে। সিফ্ট ডিউটি পাওয়া চিকিৎসক ছাড়া কোন চিকিৎসকই থাকেন না। এ ব্যাপারে তানোর মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরাতো টিএইচও এবং আরএমও’র চেহারাই দেখতে পাইনা। অব্যাবস্থাপনার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়না। চিকিৎসার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে বের করে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। কোন বিষয়ে এখানে প্রতিবাদ করার সুযোগ নাই। রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন মেডিকেলের অব্যবস্থার বিষয়ে যেন কারো কিছুই করার নেই, ভর্তি হওয়ার পর সিরিঞ্জ স্যালাইনসহ সব ধরনের ঔষুধ বাইরের দোকান থেকে কিনতে হয়। এখানে ভর্তি হওয়ার পর তেমন কোন ঔষুধ পাওয়া যায়না। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালু করা হয়না। রোগীকে রেফার্ট করা হলে এ্যামবুলেঞ্জ পাওয়া যায়না মাইক্রোবাস ভাড়া নিয়ে যেতে খরচ বেশি হয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার দেবাশীষ বলেন, কোয়াটারগুলোই এখন অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, ফলে এখানে অবস্থান করতে পারিনা। যখন নতুন ভবন নির্মান কাজ সম্পূর্ন হবে কোয়াটার ফাকা হবে তখন দেখা যাবে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার রোজিয়ারা খাতুন বলেন, পুরাতন ভবন ভেঙ্গে নতুন ভবনের নির্মানকাজ চলছে, তাই মেডিকেল ক্যাম্পাসের কোয়াটারেই এখন অফিসের কাজ চলছে, ফলে মেডিকেলে থাকার সুযোগ নেই। এর আগে যখন ভবন ভাঙ্গা হয়েছিলোনা তখন কেন ছিলেন না এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।