কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের শ্যামপুরপাড়া গ্রামে বাক্কার মিয়া গং ও ফারুক মিয়া গংদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফুরকান মিয়া ও শরিফ মিয়া খুন হয়। ফারুজ মিয়ার গংদেরকে প্রতিপক্ষ বাক্কার মিয়ার লোকজনেরা হুমকী দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিবরণী সূত্রে জানাগেছে, গত ১৪ আগস্ট সকালের দিকে বাক্কার মিয়া ও ফারুক মিয়া গংদের মাঝে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। তখন, বাক্কার মিয়া গং এর প্রায় কয়েক শত লোক ফারুক মিয়া গংদের প্রায় ৬০টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। এতে ক্ষতির পরিমান প্রায় কয়েক কোটি টাকা হবে বলে এলাকা সূত্রে জানাগেছে। বাড়ি ও ভাংচুরের ঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট কোর্টে গত ১২ সেপ্টেম্বর আলমগীর মিয়া বাদী হয়ে মোঃ বাক্কার মিয়া, সোমন মিয়া, আবদুল মান্নাফ, খুর্শিদ মিয়া, মোঃ তুফাজ্জল মিয়া, মাসুদ মিয়া, আসাদ মিয়া, আবদুল মোমেন, ফারুক মিয়া, হুমায়ূন কবির মিয়া, মাওলা মিয়া, কামাল মিয়া, মাসুদ মিয়া, সাহিন মিয়া সহ ৬৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নামে কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল মেজিষ্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন। রোববার সরেজমিন গেলে ক্ষহিগ্রস্থ লিয়াকত আলী, আমিন মিয়া, আবু সামা মাস্টার, ফজল মিয়া, তাজুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, রায়হান মিয়া, মতি মিয়া, মুমেনা বেগম, মইন উদ্দিন, আনিছ মিয়া, ফাইজুল মিয়া, আলমগীর মিয়া, ফাতেমা বেগম, হালিমা খাতুন, আকলিমা আক্তার, সাংবাদিকদের জানান, বাক্কার মিয়া গংরা দিনে দুপুরে তাদের বাড়ি ভাংচুর, কয়েক হাজার মন ধান, কয়েক শত ভড়ি স্বর্ণালংকার, প্রায় অর্ধশত গরু ও নগদ প্রায় ১৫/২০ লক্ষ টাকা নিয়ে যায় বলে দাবী করেন। এ ছাড়া এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কয়েক কোটি টাকা হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন। গ্রামবাসীরা জানান, জোড়া খুনের ঘটনায় আবু বাক্কার গংদের ভয়ে ফারুক মিয়া গংরা গত আড়াই মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিপক্ষ বাক্কার মিয়া দাবী করে বলেন, ফারুক গংরা নিজেদের বাড়ির ধান, গরু ও আসবাবপত্র নিয়েগেছে। তার লোকজন বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে নাই বলে দাবী করেন। কিশোরগঞ্জ ডিভির এস.আই মোঃ সামসুল কবির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনায় এলাকায় এসে সরেজমিন করে ভাংচুরের সত্যতা পেয়েছেন।