ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়া লাগেনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরকারী দপ্তরের ওয়বসাইডগুলোতে। ফলে নাগরিকরা একদিকে যেমন সঠিত তথ্যের পরিবর্তে ভুল তথ্য পাচ্ছেন অন্যদিকে পূর্নতা পাচ্ছেনা ডিজিটাল বাংলাদেশ।
তানোর উপজেলার বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের ওয়েবসাইড ওপেন করে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে আপডেট করা হয়নি ওয়েবসাইডের দেয়া তথ্য। ফলে বাস্তবতার সাথে মিলছেনা ওয়েবসাইডে দেয়া তথ্য। চাকুরী ছাড়ার ৭ বছরেও ওয়েবসাইডে রয়ে গেছে সেই নাম। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন থেকে তানোর উপাজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইডে গিয়ে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের আপডেট তথ্য পাওয়া যাচ্ছেনা। পাওয়া যাচ্ছে দীর্ঘদিন আগে বদলি হওয়া এবং চাকুরী ছেড়ে দেয়া কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নাম। তানোর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের তালিকায় রয়েছে বদলি হওয়া একাধিক অফিসারদের নাম। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মির তালিকায় রয়েছে ২০১২ সালে চাকুরী ছেড়ে দেয়া প্রকাশনগর কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ প্রোভাইডার শারমিন খাতুনের নাম। একই তালিকায় মিজানুর রহমানকে কালীগঞ্জ হাট এফডবিউসিতে দেখানো হলেও তিনি কর্মরত রয়েছেন কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। অপর দিকে প্রকাশ কমিউনিটি ক্লিনিকে থেকে শারমিন খাতুন চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পর সেখানে মিজানুর রহমানকে পেশনে পাঠিয়ে কাজ করানো হলেও মিজানুর রহমানের নাম দেখানো রয়েছে কৃষ্ণপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। অপর দিকে হাসপাতালের ডাক্তারদের তালিকায় রয়েছে বদলি হওয়া ডাক্তারদের নাম। তবে, নেই মোবাইল নম্বর। নেই সরবরাহকৃত ঔষুধ বা বর্তমান পরিধির কোণ তথ্য। তানোর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ হিসাবে নাম রয়েছে রেজাউল ইসলামের নাম। কিন্তু তিনি গত ৬মাস আগে বদলি হয়েছেন। ‘আমাদের সম্পর্ক’ লিং এ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাম আপডেট হলেও কর্মকর্তাগণ লিং এ ক্লিক করছে মিলছে দীর্ঘদিন আগে বদলি হওয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. হাসানুল করিম মাকালীর নাম। কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছে মেহেদী হাসানের নাম। একই পেইজে সমাজ সেবা কর্মকর্তা হিসেবে রয়েছে তৌহিদুজ্জামানের নাম সেই সাথে মুন্ডুমালা পৌর মেয়রের নাম ওই পেইজে ছবিসহ দেয়া রয়েছে। ওয়েবসাইডে দেয়া তানোর উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের সদস্যদের তালিকায় রয়েছে বদলি হওয়া উপজেলা ণির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী, সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, ওসি রেজাউল ইসলামসহ বেশ কয়েজন কর্মকর্তার নাম। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে এখনো রয়েছে বদলী হওয়া শামিম আহম্মেদ খানের নাম। উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইডে ১লা জুন ২০১৮ সালের পর ‘কর্মসুচী ও সভা’ লিংএ মাসিক সভা, সভার নোটিশ সমূহ এবং কার্যবিবরনী ও সিদ্ধান্তের তথ্য দেয়া হয়নি। নেই উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণের নামের তালিকা। উপজেলা পরিষদের বাজেট বিষয়ে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের পর দেয়া নেই আর বাজেটের তথ্য। তানোর উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন সেবামুলক দপ্তরের সেবা প্রদানের কোন তথ্য দেয়া নেই। সেই সাথে দেয়া নেই সেবা প্রাপ্তিদের নাম ও তালিকা এবং চলমান ও বাস্তাবায়ন হওয়া প্রকল্পের তালিকা। ওয়েবসাইডের তথ্য নিয়মিত ভাবে আপডেট না করায় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে তথ্য জানতে পারছেন না সচেতন নাগরিকরা। ফলে অসুম্পূর্নতায় রয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশের দিক দিয়ে। এ ব্যাপারে তানোর প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক ইমরান হোসাইন বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রুপান্তরীত হলেও তানোর উপজেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইডে পাওয়া যাচ্ছেনা আপডেট তথ্য। তিনি ওয়েবসাইড গুলোতে সকল প্রকার তথ্য আপডেটের পাশাপাশি প্রকল্পগুলোর তালিকা ও সেবা প্রাপ্তিদের তালিকা প্রকাশের জন্য উর্ধবতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু’র মোবাইলে একাধীকবাল ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।