বিস্ফোরক অধিদপ্তর কিংবা জেলা প্রশাসকের কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়াই পাবনার চাটমোহর উপজেলার যত্রতত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার। যে দুই/একজনের লাইসেন্স রয়েছে,তারা কোন প্রকার নিয়মনীতি না মেনেই অবৈধভাবে শত শত গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। সরকারি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে চাটমোহর পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার আর রাস্তার মোড়ে মোড়ে যত্রতত্র বিক্রি করা হচ্ছে (এলপি) গ্যাস সিলিন্ডার। একই অবস্থা চলছে জ¦ালানী পেট্টোল বিক্রির ক্ষেত্রেও। ফলে যে কোন সময় বিস্ফোরণ ঘটে প্রাণহানীর ঘটনা ঘাঁর আশঙ্কা রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,চাটমোহরে ২/৩ জন বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শত শত এলপি গ্যাস সিলিন্ডার আমদানি করছে। সেগুলো বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার মোড়ের ছোট ছোট দোকানে পাইকারী হারে সরবরাহ করছে। শুধু টাকা হাতে পেলেই কোন পূর্ব পরিচয় ছাড়াই এই ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যটি গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কোন প্রকার সরকারি অনুমোদন ছাড়াই পানের দোকান,মুদি দোকান,ওষুধের দোকানসহ বিভিন্ন দোকানে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার। নিত্যপণ্যের দোকানের বাইরেও এলপি গ্যাস সিলিন্ডার সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় দিন দিন বেড়েই চলেছে এলপি গ্যাস বিক্রির দোকানের সংখ্যা। এতে করে যেমন নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে,তেমনি দূর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা আছে। এসব দোকানে অগ্নি নির্বাপকের কোন ব্যবস্থা নেই। একটি সূত্র জানায়,বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একজন ব্যবসায়ী সর্বোচ্চ ৪২টি গ্যাস সিলিন্ডার সংরক্ষণ করতে পারবেন। অপরদিকে জেলা প্রশাসকের লাইসেন্সধারী সর্বোচ্চ ১০টি গ্যাস সিলিন্ডার রাখতে পারবেন। অথচ চাটমোহরের অর্ধ শতাধিক দোকানের কোন প্রকার লাইসেন্স নেই। চাটমোহর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মইনুর রহমান যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশংকার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বললেন.‘লাইসেন্সবিহীন কোন দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করা যাবে না। দ্রুত এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।