রাজশাহীর মোহনপুরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক কলেজছাত্র তার ক্লাশমেট (কলেজছাত্রীকে) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পোল্লাকুড়ি গ্রামের জনৈক ব্যক্তি আয়নাল আলীর বাড়ি থেকে কলেজছাত্রীরকে উদ্ধার ও আসামি বুলবুল হোসেন (১৮) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতেই কলেজছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম ও বুলবুল হোসেন মোহনপুর উপজেলার ধোপাঘাটা ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মোহনপুর থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ জানান, শুক্রবার স্কুলছাত্রীকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ওসিসি) বিভাগে ভর্তি ও আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার মহানগর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে কলেজছাত্র বুলবুল হোসেন (১৮) তার ক্লাশমেট একই উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কলেজ পড়-য়া মেয়ে (১৭) সাথে ৮/৯ মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। সম্পর্কের পর থেকে কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসামি বুলবুল হোসেন তার দুলাভাই উপজেলার বরইকুড়ি গ্রামের সোহেল রানা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শারীরিক মেলামেশা করত। সহযোগিতা করত আসামি বুলবুল হোসেনের বোন মিতা বেগম। গত বৃহস্পতিবার আবারও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে পোল্লাকুড়ি গ্রামের জনৈক আলমঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে শারীরিক মেলামেশা করা অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের আটক করে। পোল্লাকুড়ি গ্রামের জনৈক ব্যক্তি আয়নাল আলীর বাড়িতে কলেজছাত্রী ও ধর্ষক বুলবুল হোসেনকে আটক করে রেখে সকাল ১১ টা থেকে রাত সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ আলী, আসামির দুলাভাই সোহেল রানা ও চাচাতো ভাই সাকিল আহম্মেদ মিলে বিষয়টি আপস মিমাংসার চেষ্টা করতে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মোহনপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামি বুলবুল হোসেন (১৮) গ্রেপ্তার করে। ইউপি সদস্য আজাদ আলীর যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যটা স্বীকার করে বলেন, বুলবুল হোসেনের বাবা আবুল কালাম না আসায় বিষয়টি আপস মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।