কিশোরগঞ্জের হাওড় অধ্যুষিত ৬ টি উপজেলা। এই ৬টি উপজেলায় ১৫ থেকে ২০ লক্ষ জনগন বসবাস করে। যেখানে প্রতি উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে ১৫-১৯ জন ডাক্তার থাকার কথা, সেখানে কোন কোন উপজেলায় ২-৩ জন ডাক্তার, আবার কোনো কোনো উপজেলায় ৪-৫ জন ডাক্তার রয়েছে। এসব উপজেলা গুলোতে এক্সরে মেশিন গুলো যতেœর অভাবে যুগের পর যুগ ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। হাওড়ের লক্ষ লক্ষ গরিব রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলো সরকার ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রুপান্তর করা হলেও ডাক্তারদের চিকিৎসার অভাবে গরিব রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এদিকে হাসপাতাল গুলোতে রোগীদের খাবার একে বারেই নি¤œ মানের। প্রতিদিন সকালের খাবার ৩০-৩৩ টাকা বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও স্ব-স্ব ঠিকাদাররা কিছু প্রভাবশালী নেতাদের ম্যানেজ করে মাস শেষে বিল নিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে কিশোরগঞ্জের ১৩ উপজেলার ১৩টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮৩ জন ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু রয়েছে মাত্র ৮৩ জন, ডেপুটেশনে আছেন ৩১ জন ও পদ খালি রয়েছে ১৬৩ জনের। জানা যায়, কোনো কোনো হাসপাতালে রোগীদের সব রোগের ওষুধ যেন প্যারাসিটামল ও হিসটাসিন। ডাক্তাররা প্রায় সময়ই কঠিন রোগী দেখলে কমিশনের জন্য ডাইনোষ্টিক সেন্টার অথবা কোনো বড় বেসরকারী মেডিক্যালে স্থানান্তর করেন। গরিব রোগীদের অর্থ খরচ করতে গিয়ে মরার উপর খারার গাঁ যেন হয়ে উঠে। তখন গরিব রোগীরা রোগ সারাতে গিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েন। এ বিষয়ে বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাক্তার জালাল উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, ডাক্তার স্বল্পতার কারণে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি বলেন এ স্বল্পতার কারণে ৪-৫ জন ডাক্তার দিয়ে সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন ও উপ-পরিচালক ডাক্তার হাবিবুর রহমান বলেন, অচিরেই ডাক্তার সংকট কেটে যাবে বলে উল্লেখ করেন।