ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের পিংকি খাতুন। পিংকি খাতুন বাংলাদেশের প্রথম হিজড়া ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। এ ছাড়া ঝিনাইদহে প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের নির্বাচিত নারী নেত্রী। পিংকি খাতুন জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের সোয়াদি গ্রামের নওয়াব আলীর সন্তান।
১৪ সেপ্টেম্বর এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। শেষ ধাপে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে কোটচাঁদপুর উপজেলার সব কয়টি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহন করা হয়। নির্বাচনে পিংকি খাতুন ভোট পেয়েছেন ১২ হাজার ৮শত ৮০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি রুবিনা খাতুন পেয়েছেন ১২ হাজার ১শ ৩৯ ভোট। এ পদে নাসিমা ইসলাম নামে আরো এক নারী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সাধারন কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের কাছে গেছেন ও ভোট প্রার্থনা করতেন বলে জানান।
পিংকি খাতুন জানিয়েছেন, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আমি তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার বাস্তবায়ন করতে পারবো এল আশা করি। নির্বাচিত হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন ও সব সময় থাকবেন। সমাজে হিজড়াদের ছোট চোখে দেখা হয় এটা আমার খুব কষ্ট লাগে। বৈষম্য রোধে কাজ করবেন। নির্বাচনে প্রচারণার শুরু থেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন বলে যোগ করেন এই তৃতীয় লিঙ্গের নারী। নির্বাচনে দাড়ানো তার কোন ইচ্ছে ছিল না কিন্তু এলাকার অনেকের উৎসাহের কারণে এবার নির্বাচন করতে মাঠে নামেন। নির্বাচনি পোষ্টার নিয়ে অনেকেই তার প্রচারে নামেন। ফলে ভোটের মাঠে নামার পরে সাধারন মানুষের মনের ভাব বুঝতে পারছিলেন নির্বাচনে বিজয়ী হবেন। পাশাপািশ কোটচাদপুর এলাকার মানুষ পিংকি কে অনেক ভালবাসেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন সাধারন মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে পাশ করিয়েছেন এ রৃন আমি পরিশোধ করতে পারবো না। নির্বাচন করার কোন ইচ্ছে আমার ছিল না কিন্তু এলাকার অনেকের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন ক্রয় করে জমা দিয়ে ভোটের মাঠে নেমে বিজয়ি হয়েছি। এটা আমার কোটচাদপুর উপজেলা বাসির আবদান।
পিংকি খাতুন দীর্ঘ তিন বছর ধরে কোটচাঁদপুর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। আমি আগে ও উপজেলা বাসির সাধারন মানুষের সাথে ছিলাম এখন ও থাকবো। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। যে কারণে আমি সর্ব সময় মানুষের পাশে দাড়াতে চায় ও তাদের সমস্যা সমাধান করতে চায়। তিনি আর ও বলেন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ গুলোকে অবহেলা ভাবে দেখা হয়, যে কারণে সমাজে তারা ও উঠে আসুক।