পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। কমিটি ঘোষনাকে কেন্দ্র করে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আঃ আলীম। পুলিশ গিয়ে গভীর রাতে তাকে উদ্ধার করে। এরআগেই এলাকা ত্যাগ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব কুমার বিশ্বাস।
ছাইকোলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শনিবার। স্থানীয় হাইস্কুল মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান,সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য দিয়ে ছাইকোলা থেকে চলে আসেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব কুমার বিশ্বাস রাজু। সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড.সাখাওয়াত হোসেন সাখো,সহ-সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম,যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার মাহবুব এলাহী বিশু,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামসুজ্জোহা,ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান নুরুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম অধিবেশন শেষে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। সেখানে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদে শামীম হোসেন ও সোহেল রানা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য নাম উপস্থাপন করেন। সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী হিসেবে মোঃ বাহাউদ্দিনের নাম ঘোষিত হয়। এ সময় সভাপতি পদে শামীম হোসেন কন্ঠভোটে ১৩ জনের সমর্থন পেয়ে সভাপতি মনোনীত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বি সোহেল রানা পান ৩ ভোট। কিন্তু উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আঃ আলীম কমিটি ঘোষনা না করার কথা বলেন। তিনি জানান,সাধারণ সম্পাদক ছাড়া কমিটি ঘোষনা করা সম্ভব নয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ কর্মী-সমর্থকরা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আঃ আলীমকে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন। এ নিয়ে চলতে থাকে উত্তেজনা। পরবর্তীতে গভীর রাতে থানা পুলিশ গিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম জানান,সাবজেক্ট কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত মানেননি ছাত্রলীগ সভাপতি। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মেেনানীত হয়েছে। অথচ সভাপতি তা অগ্রাহ্য করেছে। এনিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান,ছাত্রলীগ সভাপতিকে অবরুদ্ধ করেন নেতা-কর্মীরা। রাত ২টার দিকে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আঃ আলীম জানান,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় কমিটি গঠণ করা হয়নি। কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ যা বলছেন তা ঠিক নয়। আঃ আলীম জানান,অন্যান্য ইউনিয়নের সম্মেলন শেষে উপজেলা ছাত্রলীগ বসবে। এরপর ছাইকোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।