বাগেরহাটে বাক প্রতিবন্ধী এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। রোববার সকালে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ অবস্থায় ওই কিশোরীকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষক রনি পাইককে আসামি করে শনিবার রাতে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ আসামি আটকের চেষ্টা করছে বলে জনায়।
রনি পাইক বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের জয়গাছী গ্রামের হাবিবুর রহমান পাইকের ছেলে।
গত (৩০ আগষ্ট) দুপুরে কিশোরীর মা পাশের গ্রামের বাবার বাড়ী বেড়াতে গেলে প্রতিবেশী রনি শেখ ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে বিকেলে বাড়ী ফিরে এলে মাকে ওই কিশোরী তার মাকে ইশারায় (আকার-ইঙ্গিতে) বিষয়টি জানালে তিনি বুঝতে পারেনি। কয়েকদিন পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মা তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এ সময় ডাক্তার তাকে জানায় সে অন্তঃস্বত্তা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর মা বলেন, ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই ছেলের পরিবার আমাদের কাছে প্রথমে ২০ হাজার টাকা পরে এক লাখ টাকা নিয়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে। শনিবার (১২ অক্টোবর) মেয়েটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরন হলে রাতে মামলা করি এবং হাসপাতালে ভর্তি করি। আমার এ প্রতিবন্ধী মেয়ের যারা সর্বনাশ করেছে এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত সেবিকারা জানান, ১৬ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী একটি মেয়েকে হাসপাতালে ভার্ত করা হয়েছে। আমরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছি। সে ৪২ দিনের অন্তস্বত্তা। তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চলছে।
বাগেরহাট পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বাগেরহাট মডেল থানায় রনি পাইক নামের এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।