রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় হঠাৎ করেই সন্ত্রাসী স্টাইলে দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্মাণকৃত দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। শুধু দোকান গুড়িয়ে দেওয়াতেই শেষ নয় দোকানের জায়গা দ্রুত না ছাড়লে জীবনের মতো শেষ করে দেবারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গোদাগাড়ী উপজেলার ফরহাদপুর মাঠ সংলগ্ন এলাকায়।
এই ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় একটি এজেহার দায়ের করেছে ভূক্তভোগীরা।
লিখিত এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, ফরহাদপুর গ্রামের ফুটবল মাঠ সংলগ্ন রাস্তায় পাশ্বে সিএনবির মাটিতে ২০০২ সাল হতে একটি মুদি দোকান ঘর তৈরী করে সংসার চালিয়ে আসছে ওই গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেন হিরা (২৭)। দোকানের পেছনে ওই গ্রামেরই আজাহার আলীর ছেলের ওয়ালিদ হোসেন বাবু (৪০) ৫-৬ বছর আগে নতুন ভাবে বাড়ী তৈরী করে বসবাস করছে। কিছু দিন পূর্ব হতে দোকানের জায়গাটি তাদের দাবি করে দোকানঘর উঠিয়ে নিতে হুমকি প্রদান করে আসছে। গত ১৮ বছর যাবত দোকান করে সংসার চালানোয় সে দোকান উঠাতে রাজি হয়নি। এই নিয়ে স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য গত বৃহস্পতিবার বসা হয়। কিন্তু মিমাংসার রায়ের আগেই হঠাৎ করেই বলে উঠে এই মিমাংসা মানি না।
শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে ওয়ালিদ হোসেন বাবুর নেতৃত্বে আরো ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী সংঘবদ্ধ হয়ে আনোয়ার হোসেন হিরার দোকানে লাঠি, লোহার রড়, ধারালো হাসুয়া নিয়ে আনোয়ার হোসেন কে চর থাপ্পর মেরে অশ্লিন ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে বলে, এর প্রতিবাদ হিরা করলে আনোয়ার হোসেন বাবু হুকুম দেয় শালাকে মারপিট করে জীবনের মতো শেষ করে দে। এই হুকুম পাওয়া মাত্রই আসামী বাবু, বাবুর ছেলে শাকিব (১৮) ও বাবুর স্ত্রী লালবানুসহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ দোকান ঘর ভাংচুর শুরু করে। প্রাণ ভয়ে আনোয়ার হোসেন হিরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় আধাপাকা দোকান ঘর ভাংচুর , মালামাল লুট, নগদ ১৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এতে প্রায় সোয়া এক লক্ষ টাকার মহ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানাযায়।
ভাংচুরের ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ভায়রাল হয়। তাতে দেখা যায় বাবুর স্ত্রী লালবানু নিজে লোহার সাবল দিয়ে দোকান ঘর ভাংছে আর মুখের ভাষা খুবাই খারাপ করছে। তোর পুলিশ বাপকে ডাক পুলিশ কিছুই করতে পারবে না বলে ওই মহিলা হুমকি দেয়। ভিডিওটি এই প্রতিবেদকে কাছে সংরক্ষিত আছে। পরে গোদাগাড়ী প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র হতে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে । পুলিশ চলে গেলে সেদিন বিকেলে আবারও ভাড়াতে সন্ত্রাসীরা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যায়।
অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন হিরা জানান, দীর্ঘ ১৮ বছর হতে আমি সরকারি জায়গাতে দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। হঠাৎ করেই তারা আমার দোকান ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই বলে দাবি করেন।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । সময় মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।