রাজশাহীর মোহনপুরে দীর্ঘদিনের পানি নিষ্কাসনের একমাত্র পথ কালভাটের মুখ বন্ধ করে অপরিকল্পিভাবে পুকুর খনন করায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমির ফসল ও পানি ডুকছে পান বরজে। গত বুধবার মোহনপুর উপজেলার তাঁতিপাড়া গ্রামের শতাধিক কৃষক স্বাক্ষর করে প্রতিকার চেয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও’র) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার মোহনপুর উপজেলার তাঁতিপাড়া গ্রামের গিয়ে স্থানীয় কৃষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, বাপ দাদার আমল থেকে মোহনপুর ও বাগমারা উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া সরকারি খাল দিয়ে পানি উঠা নামা করত। পুকুর খননের পুর্বে কোন সময় পান বরজ ও ফলসি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। পানি নিষ্কাসনের জন্য ওই খালের দক্ষিণ দিকে ছোট কালভাট ছিল। মোহনপুর উপজেলার ফতেপুর ও বাগমারা উপজেলার রঘুপাড়া গ্রামের দুইজন প্রভাশালী ব্যক্তি পানি নিষ্কাসনের একমাত্র পথ কালভাটের মুখ বন্ধ করে অপরিকল্পিত ভাবে পুকুর খনন করেন। বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি তীব্র জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাসনের পথ বন্ধ থাকায় বর্তমানে শতাধিক ফসলি জমিতে জলাবন্ধতা ও পান বরজে পানি ডুকতে শুরু করেছে।
তাঁঁতিপাড়া গ্রামের কৃষক আবদুর বারি, আলিমুদ্দিন, নুর ইসলাম ও আনারুল ইসলাম জানান, পানি নিস্কাসনের পথ বন্ধ করে অপরিল্পভাবে পুকুর খনন করায় কয়েকদিনের ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে আমাদের পান বরজ পানি ডুকতে শুরু করেছে। আর মাত্র ৩/৪ ইঞ্চি পানি বৃদ্ধি পেলে খালের দুই পাশের সম্পূন্ন পান বরজ পানিতে তুলিয়ে যাবে। আরেক কৃষক আবুল কালাম বলেন, কয়েকজন কৃষক মিলে পানি নিস্কাসনের জন্য পুকুর মালিককে কালভাটের মুখ খুলে দিতে বললে তারা উল্টে আমাদেরকে হুমকি প্রদান করেন। তারা আরো জানান, প্রতিনিয়ত নতুন করে পান বরজে পানি ডুকছে।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) সানওয়ার হোসেন জানান লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্ধ থাকা কালভাটের মুখ খুলে দিয়ে পানি নিস্কাসনের ব্যবস্থা করা হবে।