সংবাদ সংস্থা এফএনএস সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালের ২৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) হারুন-অর রশিদ। সে আলোকে রাজশাহী (পশ্চিম) রেলওয়ে হাসপাতালের চীফ মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. এস.এ.এম. এমতেয়াজ স্বাক্ষরিত চিঠিতে আদেশটি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক স্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশটি অনতিবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। যে তালিকায় ফার্মাসিস্ট, সিনিয়র ও জুনিয়র নার্স, আয়া, সিনিয়র ও জুনিয়র সেনেটারী পরিদর্শক, সেনেটারী জমাদার, ড্রেসার এবং ওয়ার্ড এ্যাটেনন্ডেন্ট, এক্সরে এ্যাটেনন্ডেন্টসহ পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রয়েছে। যাদেরকে রাজশাহী, সৈয়দপুর, পাকাশী, সান্তাহার, খুলনা, ঈশ্বরদী, লালমনিরহাট ও পার্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মস্থলে বদলী ও রদবদল করা হয়েছে।
এর আগে প্রতিদিনের সংবাদ, দৈনিক বার্তা ও সংবাদ সংস্থা এফএনএস সহ বিভিন্ন পত্রিকায় ‘পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ে হাসপাতালের পরিচ্ছনতায় এত খরচ’ ও ৭ অক্টোবরের সংখ্যায় ‘রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালে ভুয়া রোগী দেখিয়ে লাখ লাখ টাকার ওষুধ চুরি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার প্রেক্ষিতেই এমন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছেন। আর এই নির্দেশনাটির কার্যকারিতা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা (সদর) ডা. এস.এম মারুফুল আলম।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল রাজশাহীর জিএম হিসাবে সম্প্রতি যোগদানকৃত হারুন-অর রশিদ জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে কোন প্রকার অনিয়ম দুর্নীতির সুযোগ নাই। আমি এখানে জয়েন্ট করার পরই অধীনস্থ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বলেছি, আমি থাকাকালীন সময় কোন প্রকার অনিয়ম সহ্য করা হবে না। যে কথার কার্যকারিতা চলমান। আশাকরি, এখন থেকে সকলেই সজাগ হয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে থাকা সিসি ফুটেজ মোতাবেক রোগীর সংখ্যা বা একই ব্যক্তি রোগীর বাহানায় ওষুধ নিচ্ছেন বা নিয়েছেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এরপরই পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ এ সময় সাংবাদিকদের সহযোগিতাও চান হারুন-অর রশিদ।
এদিকে, এমন ঘটনা ইতঃপূর্বে রেলওয়ের সেক্টরে ঘটেনি বলে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা স্টাফরা। বর্তমানে এই সেক্টরেও শুদ্ধি অভিযান শুরু হলো মন্তব্য করে তারা বলেন, অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে এই প্রক্রিয়াধীন শাস্তিটি রেলওয়ে সেক্টরে ইতিহাস সৃষ্টি করল।