পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন রাজশাহীস্থ ভারতীয় হাই কমিশনের সহকারী হাই কমিশনার সঞ্জিত কুমার ভাট্টি। তিনি রোববার চাটমোহর পৌরসভার রাধাবল্লভ মন্দির,হরিসভা মন্দির,কর্মকারপাড়া মন্দির,দোলবেদীতলা মন্দির,পুরাতন বাজার কালি মন্দির,নিমতলা মন্দিও ও বিলচলন ইউনিয়নের বোঁথর মন্দির পরিদর্শন করেন। তিনি সকলের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় চাটমোহরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম,সহকারী পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরিন,চাটমোহর থানার ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন,পাবনা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা সাংবাদিক নরেশ মধু,উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আশোক চক্রবর্তী,সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দত্ত চৈতন্য,সাংগঠনিক সম্পাদক কিংকর সাহা,পৌর সাধারণ সম্পাদক তরুন পাল,সাংবাদিক সঞ্জিত সাহা কিংশুকসহ বিভিন্ন মন্ডপের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে,সোমবার চাটমোহর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। চাটমোহরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইকতেষারুল ইসলাম,এএসপি (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরিন,ওসি সেখ মোঃ নাসীর উদ্দিন,কৃষি কর্মকর্তা হাসান রশীদ হোসাইনী,যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আঃ হালিম,আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের সমন্বয়কারী খলিলুর রহমান,পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক চক্রবর্তীসহ অন্যরা উপজেলার হান্ডিয়াল,নিমাইচড়া ও গুনাইহাছা ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।
চাটমোহরের মন্ডপে মন্ডপে জন¯্রােত। উৎসবের রোশনাইয়ে মুখরিত চারপাশ। সকাল থেকে বিরামহীন ঢাকের আওয়াজের সঙ্গে থেমে থেমে কাসর ঘণ্টা,শঙ্খনাদ আর উলুধ্বনি। সে সাথে দেবীর অর্চণায় অবিরাম চন্ডি পাঠ। মন্ডপে মন্ডপে ঢাকের বোলে তাই যেন ধ্বনিত হয় বাঙালি হিন্দুর হৃদয়তন্ত্রীতে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। সোমবার মহানবমীতে পূজা মন্ডপগুলোতে ছিলো ভক্ত ও পূর্ণার্থীদের ভীড়। চাটমোহরের ৪৯টি মন্ডপে মহা ধূমধামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দূর্গাপূজা।
আজ মর্ত্য ছাড়বেন দুর্গতিনাশিনী। ফিরবেন কৈলাশে। মন্ডপে মন্ডপে বিদায়ের সুর। বিজয়া দশমীতে উপজেলার বড়াল,গুমানী ও চিকনাই নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে বলে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান।