অসময়ে বন্যার কারণে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরে আগাম পেঁয়াজ আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এতে আগামি ডিসেম্বর মাসে উপজেলায় বর্তমান সময়ের চেয়ে আরো পেঁয়াজ সংকট দেখা দিতে পারে বলে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী কামরুজ্জামানসহ অনেকেই ধারণা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চল এবং উঁচু জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। গত বছর এ সময় উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬‘শ হেক্টর জমিতে আগাম মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। কিন্তু এ বছর অসময়ে বন্যার কারণে ওই সকল জমি ডুবে গেছে। এতে পেঁয়াজ চাষীরা এখন পর্যন্ত এক চিলতা জমিতেও আগাম পেঁয়াজ আবাদ করতে পারেননি। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী বেলাল হোসেন বলেন, গত বছর সেপ্টেম্বর মাস শেষ হওয়ার আগেই প্রায় ৫বিঘা জমিতে আগাম মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছিলাম। কিন্তু এ বছর বর্ষার পানিতে পেঁয়াজের জমি ডুবে যাওয়ায় সেপ্টেম্বর মাস শেষ হয়ে আক্টোবর মাসের ৭দিন চললেও এক শতাংশ জমিতেও পেঁয়াজ আবাদ করতে পারি নাই। উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন আমি প্রত্যেক বছর এ সময় চরাঞ্চলের ৩/৪বিঘা জমিতে মূলকাটা পেঁয়াজ আবাদ করে থাকি। কিন্তু বর্তমানে ওই সকল জমি বৃষ্টি এবং বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকায় পেঁয়াজ লাগানো যায়নি। তবে বন্যার পানি নেমে গেলে দেরিতে হলেও কৃষক ওই সকল জমিতে আগাম পেঁয়াজ আবাদ করবে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক সরকার জানান, প্রত্যেক বছর ডিসেম্বর মাসে উপজেলার হাট-বাজারে আগাম আবাদ করা পেঁয়াজ প্রচুর পরিমাণে উঠে। এতে পেঁয়াজের বাজার বেশ স্থিতিশীল থাকে। কিন্তু এ বছর অসময়ের বন্যার পানিতে বেশিরভাগ আগাম আবাদযোগ্য পেঁয়াজের জমি ডুবে যাওয়ায় আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কৃষক আগাম পেঁয়াজ আবাদ করলেও উঠতে অনেক দেরি হবে। ফলে এ বছর আগামি আগামী ২/৩মাসের আগে পেঁয়াজের দাম তেমন কমবেনা বলে তিনি ধারণা করছেন।