আগামি ৯ অক্টোবর হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহণ, মজুদ, বাজারজাত করণ, ক্রয় বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ বিষয়ে সচেতনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইমরানুল হকের সভাপতিত্বে এই সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব প্রদান কালে সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ শামসুল কবির বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসন হতে ইলিশ মাছ নিষিদ্ধ সময়ে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক আমরা তা বাস্তবায়ন করবো। এতে জেলা, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সাংবাদিকসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনা (ভূমি) মোহাম্মদ ইমরানুল হকা সকল নির্দেশান বাস্তবায়নের জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও তার সহযোগিতা সব সময় আছে বলে জানানা। নিষিদ্ধ সময়ে কেউ ইলিশ ধরল কোন ভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না। তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হবে বলে জানান।
তবে ৯ অক্টোবার হতে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা নিষেধের সাথে সাথে কোন মাছ মারা যাবে না এতে করে দ্বিমত দেখা দেয়। জেলেরা অভিযোগ করেন এই সময়ে অন্যমাছ নদীতে আসে সেগুলো না ধরলে বাজারে মাছ সংকট হবে তাছাড়া এই মাছ ভারতে চলে যাবে ফলে আমার বঞ্চিত হবো। বিষয়টি পূর্ণবিবেচনার জন্য প্রশাসনের প্রতি তাগিদ জানান।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য কর্মকর্তা নাইমুল হক, বিজিবি কর্মান্ডার আহাদ আলী, নৌ পুলিশের প্রতিনিধি এএসআই আবদুল মালেক, উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আলমগির কবির তোতা, গোদাগাড়ী প্রেসক্লাব দপ্তর সম্পাদক আবদুল বাতেন, পৌর প্রেসক্লাব সভাপতি শহিদুল ইসলাম, রিপোর্টারস ইউনিটির সভাপতি আশরাফ বাবুসহ জেলেদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি বৃন্দ।